ঈদের সময় যানবাহনে বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই বন্ধে বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনটি ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সব টিম পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বা ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল বা যাত্রী পরিবহন বন্ধে এবং যাত্রী ভোগান্তি কমাতে কাজ করবে।
ঈদের যাত্রা শুরুর আগেই এই দলগুলো রাজধানীর সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে অবস্থান করবে বলে জানান তিনি। এছাড়া রোজার ঈদ ঘিরে এবার ১৪ দিন দেশের সব সিএনজি ফিলিং স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখা হবে; পাশাপাশি ঈদের আগে তিন দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ভারী যানবাহন চলাচলে থাকবে কড়াকড়ি থাকবে জানান তিনি। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ ও জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
সোমবার রাজধানীর এলেন বাড়ীতে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)’র কার্যালয়ে ঈদে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নিশ্চত করতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, ঈদযাত্রায় জটিলতা এড়াতে এবারও পোশাক কারখানাগুলোকে ধাপে ধাপে ছুটি দিয়ে ঈদের পর ভিন্ন ভিন্ন তারিখে কারখানা খোলার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। কাঁচপুর, গাজীপুর, টঙ্গী, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা এসব এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি দিলে যানজটের চাপ কমতে পারে। সেজন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, বিকেএমইএকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।