যাতায়াত ব্যবস্থা আরামদায়ক ও ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহনের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) ভারত থেকে নতুন ৬শ বাস ও ৫শ ট্রাক আমদানি করছে। আমদানিকৃত বাসের মধ্যে ১০০টি নন এসি, ২০০টি এসি ও ৩০০টি ডাবল ডেকার।
চলতি মাসেই আমদানিকৃত বাসের মধ্যে বিআরটিসির বহরে যুক্ত হচ্ছে নতুন ১০০ বাস। এর মধ্যে ৪০টি বাস ভারত থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত বেনাপোলে এসে পৌঁছেছে । কাস্টমস প্রক্রিয়া শেষে ১৫ জানুয়ারি ঢাকায় এসে পৌঁছবে। জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে ঢাকার গণপরিবহনে যুক্ত হবে নতুন এসব বাস। আর আগামী মার্চের মধ্যে আসছে ২০০ এসি ও ৫০০ ট্রাক। এপ্রিলের শেষ নাগাদ পাওয়া যাবে ৩০০ ডাবল ডেকার বাস আসবে বলে বিআরটিসি’র সূত্রে জানা যায়।
আমদানিকৃত বাসের বিষয়ে বিআরটিসি চেয়ারম্যান ফরিদ আহমেদ ভূইয়া বলেন, ‘ভারতের রুটে যেসব বাস চলে ওইরকম বাসের মধ্যে সর্বোচ্চ কোয়ালিটির বাস আসছে। একেকটি বাসের দাম ৫০ থেকে ৫৫ লাখ টাকা পড়েছে। স্পেসিফিকেশন যা চাওয়া হয়েছে সেভাবেই বাস আসছে। এজন্য তিন বছর সময় লেগেছে বাস আনতে।’
বিআরটিসি সূত্র আরো জানা যায়, প্রথম লটে ৪২টি নন এসি বাস, ৫ টি এসি, এবং ২৫ টি ট্রাক বেনাপোল পর্যন্ত এসেছে। ৩০০ টি ডাবল ডেকার ছাড়া সব বাস-ট্রাক মার্চের মধ্যে চলে আসবে। আর ডাবল ডেকার বাসগুলো এপ্রিলের শেষ নাগাদ আসতে পারে ।
ডাবল ডেকার বাস তৈরি কারখানা পরিদর্শনে ১৫ জানুয়ারি ভারত যাবেন বিআরটিসি চেয়ারম্যান। তিনি জানান, ‘৩০০টি ডাবাল ডেকার ঢাকা সিটির জন্য। আর ২০০ এসি ও ১০০ নন এসির কিছু বাস ঢাকা ও কিছু আন্ত জেলা রুটে চলাচল করবে।’
বিআরটিসির তথ্য অনুযায়ী, এখন ৯২০ টি সচল রয়েছে বিআরটিসির। এর মধ্যে রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচল করে ৪৫০টি। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আর বিভিন্ন সরকারি অফিসের স্টাফ পরিবহনে ব্যবহার হয় ২৭২টি বাস। এছাড়া অচল ৩০০ বাসের মধ্যে ৫০ টির মত বাস আবার মেরামত করে রাস্তায় নামিয়ে চালানো হচ্ছে। নতুন ১১ শ বাস ট্রাক আসলে বিআরটিসির বহর ২১০০ ছাড়িয়ে যাবে চলতি বছরেই।
ভারতের গোয়া রাজ্যের একটি কারখানায় টাটা কোম্পানির ইঞ্জিন ওচেসিসে পশ্চিম ভারতের অটোমোবাইল কর্পোরেশন অফ গোয়া লিমিটেডে (এসজিএল) বাসের বডি তৈরি করেছে।
ঢাকা শহরে বর্তমানে যে একতলা বিআরটিসির বাস চলাচল করছে নতুনভাবে তৈরিকৃত বাসগুলো অনেকটা একই। তবে বাসের ভেতরের আসনে নতুনত্ব আনা হয়েছে। প্রশস্ত রাখা হয়েছে জানালা। ঘন্টায় বাসের সর্বোচ্চ গতি হবে ১০৫ কিলোমিটার।
বিআরটিসির নির্ধারিত রং মেনে বাসগুলো লাল রঙে পেইন্টিং করা হয়েছে। আগের বাসের মত বড় করে লাল রঙ্গের ওপরে সাদা অক্ষরে ‘বিআরটিসি’ লেখা রয়েছে। আর দরজার পাশে লেখা হয়েছে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ’।