জননিরাপত্তা বিধান, জনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে গত ১৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে বিএনপি নেতাকর্মীদের ছোঁড়া ঢিলের আঘাতে বাম চোখে মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে শংকর নেত্রালয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আজ (০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩) সকালে ভারতের চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছেন। তার চোখের অবস্থা সংকটাপন্ন।
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, বাংলাদেশ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম গত ২২ আগস্ট ২০২৩ তারিখ সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অজয় চন্দ্র দেবকে দেখতে যান। আইজিপি কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন এবং তার চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। আইজিপি অজয় চন্দ্র দেবের উন্নত চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
আইজিপির ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সার্বিক নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে অজয় চন্দ্র দেবেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারত পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট ২০২৩ তারিখে হবিগঞ্জ জেলায় বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বিএনপি নেতাকর্মীরা সড়কে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙচুর করে। পুলিশ তাদেরকে জনগণের চলাচলে বাধা সৃষ্টি না করা এবং নৈরাজ্য বন্ধের অনুরোধ জানলে তারা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে । তারা কর্তব্যরত পুলিশের ওপর ইট-পাথর ছুড়তে থাকে। তাদের ছোঁড়া ইট-পাথরের আঘাতে কর্তব্যরত অবস্থায় হবিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অজয় চন্দ্র দেব বাম চোখে মারাত্মক আঘাত পান। তাকে তাৎক্ষণিক হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসায় মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। মেডিকেল বোর্ড তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতের চেন্নাইয়ে শংকর নেত্রালয়ে পাঠানোর পরামর্শ দেয়।
বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে রাজারবাগে পুলিশ সদস্যরা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন। সেই থেকে আজ অবধি বাংলাদেশ পুলিশের দেশপ্রেমিক অকুতোভয় পেশাদার সদস্যগণ দেশের যেকোনো প্রয়োজন ও সংকটে নিজের জীবন উৎসর্গ করতেও কুন্ঠাবোধ করেন না।
এ প্রসঙ্গে আইজিপি বলেছেন, কোন পুলিশ সদস্য আইনানুগ দায়িত্ব পালনকালে আহত হলে তার সর্বোচ্চ চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে।