ডিএমপি নিউজ: মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশ ও নগদে প্রতারণার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আতিয়ার মন্ডল ও মোঃ টিপুল মন্ডল। এসময় তাদের হেফাজত ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিন) বিভাগের ওয়েব-বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নিশাত রহমান মিথুন ডিএমপি নিউজকে জানান, আসামীরা নিজেদের বিকাশ অফিসের লোক পরিচয়ে দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ২ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শাহজাহানপুর থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের অবস্থান শনাক্ত করে গত বুধবার মাগুরা জেলার সদর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আতিয়ার মন্ডল ও টিপুল মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রতাণার কৌশল সম্পর্কে তিনি বলেন, আসামীরা অন্যের পরিচয়পত্র দিয়ে উত্তোলনকৃত মোবাইল সীম দিয়ে প্রথমে বিকাশের এজেন্ট হিসেবে কথা বলে। অনেক সময় বলে আপনার বিকাশ নম্বরে ভুল করে টাকা চলে গেছে। পরবর্তীতে প্রতারক গ্রুপের অন্য একজন সদস্য বিকাশ অফিসের কর্মকর্তা সেজে বাদীকে ফোন করেন এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বাদীর কাছ থেকে OTP নম্বর নিয়ে নেয়। এই OTP ব্যবহার করে প্রতারকের মোবাইলে বাদীর বিকাশের অনুরুপ আরেকটি বিকাশ একাউন্ট খোলে এবং বাদীর একাউন্টের সমস্ত কিছু প্রতারকের কাছে চলে যায়। এভাবে প্রতারক ভুয়া বিকাশ নম্বরে টাকা স্থানান্তর করে প্রতারণা করে থাকে। নগদ ও বিকাশ উভয় ক্ষেত্রেই একই পদ্ধতি অবলম্বন করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক চক্র।
এ ধরনের প্রতারণা এড়াতে গোয়েন্দা-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ নিম্নোক্ত পরামর্শ দিয়েছে :
১.বিকাশ ও নগদ অফিস থেকে কোন ফোন আসে না, তাই কারো কথায় বিশ্বাস করা যাবে না।
২. কোন ভাবেই মোবাইলের OTP অপরিচিত কারো সাথে শেয়ার করা যাবে না।
৩.প্রতারকরা যেহেতু বিকাশের দোকান থেকে বিকাশ ও নগদ নম্বর সংগ্রহ করে, তাই বিকাশ ও নগদ এজেন্টদের খাতা নিরাপদে রাখতে হবে।
৪.বিকাশ ও নগদে প্রতারিত হলে অতিসত্ত্বর বিকাশ ও নগদ অফিসের হেল্প লাইনে ফোন করে বিষয়টি জানাতে হবে।