ভেনিজুয়েলার নবনিযুক্ত চিফ প্রসিকিউটর তারেক উইলিয়াম সাব বলেছেন, বিক্ষোভকারীদের নেতাদের খুঁজে খুঁজে বের করে জেলে পাঠানো হবে। কোনভাবেই সেখানে আর বিক্ষোভকারীদের উন্মত্ততাকে বরদাশত করা হবে না। বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।
দেশটিতে ‘ঘৃণিত অপরাধ’ সংক্রান্ত একটি আইন পাস হওয়ার একদিন আগে তিনি এ মন্তব্য করলেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে বিক্ষোভকারীদের শায়েস্তা করতে নতুন এই আইনটি করা হচ্ছে।ওইদিন পার্লামেন্টে তিনি উচ্চস্বরে বলেন, ‘ঘৃণিত অপরাধের’ জন্য কারা দায়ী তাদের আমাদের চিহ্নিত করতে হবে। কেননা এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। এ ধরনের অপরাধ আমাদের দেশে হরহামেশা ঘটে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না। একটা উপযুক্ত আইনের মাধ্যমে এর সুরাহা করতে হবে।
এই মাসের প্রথমদিকে দেশটিতে নতুন সাংবিধানিক পরিষদের গণভোট হয়। এই নতুন সাংবিধানিক পরিষদের মাধ্যমেই তিনি নিযুক্ত হন। তিনি সংসদে এক মুহূর্তে বিক্ষোভকারীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, বিক্ষোভের নামে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ মেনে নেওয়া যায় না। প্রয়োজন হলে ধরে ধরে বিক্ষোভকারীদের হোতাদের গ্রেফতার করা হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। চিফ প্রসিকিউটর আরো বলেন, গত এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া সরকার বিরোধী বিক্ষোভে ১২০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। কাজেই দেশকে এই অস্থির অবস্থা থেকে বের করে নিয়ে আসা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আমরা সেই দায়িত্ব পালনের বিষয়ে সচেষ্ট আছি। আমরা বিক্ষোভের সকল ভিডিও ফুটেজ এবং ক্যামেরার ছবি তল্লাশি চালাবো।
আশা করি, এর মাধ্যমে তথ্য পেয়ে যাবো বিক্ষোভের নামে কারা অরাজকতা চালিয়েছে। কাদের হাতে নিরীহ মানুষ নিহত হয়েছে। উল্লেখ্য, নতুন পার্লামেন্ট গঠনের পর তারেক সাব-এর পূর্বসূরি লুইসা অর্তেগা’কে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে তাকে নিজ অফিসে ‘অবরুদ্ধ’ করে রাখা হয়। এ সময় টুইটারে দেওয়া পোস্টে লুইসা অর্তেগা বলেন, পাবলিক প্রসিকিউটর সদর দফতর অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা আমি প্রত্যাখ্যান করছি। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আগেই আমি এই বিধিবহির্ভূত পদক্ষেপের নিন্দা জানাই।
এদিকে দেশটিতে যে নতুন আইন পাস হতে যাচ্ছে তার নিন্দা করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো। তারা বলছেন, এই আইন সরকারবিরোধীদের ঘায়েল করতেই করা হচ্ছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর একান্ত আস্থাভাজন এবং সাংবিধানিক পরিষদের প্রধান ডেলকি রড্রিগোয়েজ বলেন, এই সপ্তাহের মধ্যেই এই আইনটি পাস হয়ে যাবে।