লন্ডনবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন। ঢুকে পড়েছেন স্থানীয় টাউন হলের ভেতরেও। ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মেও বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কেনসিংটন টাউন হল, হোয়াইট হল, ডাউনিং স্ট্রিটসহ মধ্য লন্ডনে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। তারা এ ঘটনার জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন।
লন্ডনবাসীদের একটাই দাবি, আমরা বিচার চাই। গত মঙ্গলবার রাতে নর্থ কেনসিংটনের গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাÐ শুরু হয়। ২৭ তলা ভবনটির অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কাজ না করায় আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। পুড়ে যায় ভবনের বেশ কয়েকটি ফ্লোর। অগ্নিকান্ডে ৩০ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। আহত অন্তত ৭০ জন। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। নিখোঁজ রয়েছেন আরো অন্তত ৭০ জন।
এ অগ্নিকান্ডে ঘটনা লন্ডনবাসীর মনে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। তারা এ ঘটনার জন্য সরকার ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন। তারা দায়ীদের বিচার দাবি করেছেন। স্থানীয় সময় গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা কেনসিংটন অ্যান্ড চেলসি টাউন হল ঘিরে ফেলেন। তারা কাউন্সিলরদের কাছে এ ঘটনার জবাব দাবি করেন। এক পর্যায়ে ৫০ থেকে ৬০ জন বিক্ষোভকারী টাউন হলের ভেতর ঢুকে বিক্ষোভ করেন। ক্ষুব্ধ জনগণের বিক্ষোভ মিছিল হোয়াইট হল, ডাউনিং স্ট্রিট, পার্লামেন্ট স্কয়ার এবং অক্সফোর্ড স্ট্রিট পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেছে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী থেরিসা মে ডাউনিং স্ট্রিটে ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করার সময় বিক্ষোভের মুখে পড়েন। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের খাবার, কাপড় ও জরুরি পণ্যের জন্য ৫০ লাখ পাউন্ড বরাদ্দ দেন। পূর্ণাঙ্গ সরকারি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করেছেন ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স চার্লস।
প্রতিবাদে যোগ দেওয়া ক্রন্দনরত এক নারী জানান, প্রধানমন্ত্রী বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা কারও সঙ্গে কথা বলতে না চাওয়ার ফলে মানুষ এ বিক্ষোভ করছেন। লন্ডনবাসীর বিক্ষোভ সম্পর্কে জানতে চাইলে থেরেসা মে সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমি এখন সহযোগিতা নিশ্চিত করতেই মনযোগ কেন্দ্রীভূত করছি। সরকার দুর্গতদের অর্থের ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। কী ঘটেছে তা গভীরে খতিয়ে দেখা হবে বলে নিশ্চয়তা দিচ্ছি আমি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের যাতে নতুন জায়গায় আবাসনের ব্যবস্থা হয় তা নিশ্চিত করবে সরকার।