ধারাবাহিক সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কারের পাশাপাশি এবার বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সৌদি আরব। এটি এমন একটি পদক্ষেপ, যা দিয়ে সৌদি আরব পুরোপুরিভাবে লিখিত আইনের দিকে যাত্রা করছে। বিচার ব্যবস্থায় দক্ষতা ও অখণ্ডতা বাড়াতে এই প্রথম এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত নিচ্ছে দেশটি। সৌদিতে এখনো লিখিত কোনো সমন্বিত আইনি পদ্ধতি নেই। খবর রয়টার্সের
সোমবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত খসড়া আইন অনুমোদন দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। বিচার ব্যবস্থার নতুন সংস্কার নতুন ধারার প্রতিনিধিত্ব করবে। এর মাধ্যমে মামলার রীতি ও তদারকির পদ্ধতিগুলোর নির্ভরযোগ্যতা বাড়বে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণে ভূমিকা রাখবে বলেও মনে করেন তিনি।
যুবরাজ বলেন, পারিবারিক আইন, নাগরিক লেনদেন আইন, বিবেচনামূলক নিষেধাজ্ঞা আইন ও সাক্ষ্য আইন- এই চারটি নতুন আইন বর্তমানে চূড়ান্ত করা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে এগুলো মন্ত্রিসভা ও প্রাসঙ্গিক সংস্থাগুলোর পাশাপাশি শূরা কাউন্সিলের কাছেও জমা দেওয়া হবে।
এ সংক্রান্ত সৌদি এক কর্মকর্তা বলেন, আন্তর্জাতিক মান ও অনুশীলন মতে চারটি প্রধান ও মূল আইনের সংস্কার করে লিখিত রূপে নেওয়ার মানে হচ্ছে, ইসলামিক শরীয়াহ নীতি মেনে আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে লিখিত আইনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে সৌদি আরব। দেশটিতে কোনো লিখিত আইন না থাকায় কয়েক দশক ধরে নির্দিষ্ট ঘটনাগুলো নিয়ে রায় ও মামলা-মোকদ্দমার মধ্যে বৈষম্য ঘটেছে। এতে অনেক সৌদি নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এরমধ্যে আবার বেশির ভাগই নারী বলে জানা গেছে। ২০২১ সালের মধ্যেই এই নতুন আইন ধারাবাহিকভাবে ঘোষণা করা হতে পারে।