পাকিস্তান সেনার দাবি, এই অস্ত্র মজুত করেছিল বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন। নাশকতায় জড়িত বেলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ)। তারা এই অস্ত্র সম্ভার মজুত করেছিল। বিশাল অস্ত্র সম্ভার উদ্ধারের পর চমকে গিয়েছেন পাক সেনা কর্তারা। তাদের আশঙ্কা প্রতিশোধ নিতে আবারও হামলা চালাবে বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। ফলে কোয়েটা শহর ও সংলগ্ন এলাকায় জারি হয়েছে সতর্কতা।
আরব সাগর তীরে গোয়াদর বন্দর এলাকাতেও জারি হয়েছে সতর্কতা। সম্প্রতি এখানেই প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে খুন করা হয় ১১ জন শ্রমিককে। সেই নাশকতার এক সপ্তাহের মধ্যেই আবারও খুন করা হয় ৪ শ্রমিককে। এরা প্রত্যেকেই চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক এলাকায় সড়ক তৈরির কাজে নিযুক্ত ছিলেন।
বেলুচিস্তানের গোয়াদর বন্দর এলাকায় অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বিপুল বিনিয়োগ করেছে চীন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিনিয়োগের অছিলায় পাকিস্তানের মাটিতে চীনা উপনিবেশ তৈরি হতে চলেছে৷
অন্যদিকে স্বাধীন বেলুচিস্তানের দাবি তোলা বালোচ লিবারেশন আর্মির অভিযোগ, পাক সরকারের নাশকতা মাত্রা ছাড়িয়েছে। এর পাল্টা বদলা নেওয়া হবে। এলাকায় ১৯৭১ সালের পূর্ব পাকিস্তানের মতো রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি করতে চলেছে পাকিস্তান সরকার।