আফ্রিকার পূর্ব অঞ্চলে সম্প্রতি একটি বিশাল ফাটল দেখা দিয়েছে। কেনিয়ার উপর দিয়ে যাওয়া এই ফাটলের রহস্যভেদ করতে পারছেন না ভূতত্ত্ববিদরা। তাই এর কারণ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা গবেষণা।
গবেষণায় জড়িতরা জানিয়েছেন, কয়েক কিলোমিটার যাবার পরেও তারা এই ফাটলের শেষ মাথা খুঁজে পাননি। তাই সন্দেহ করছেন এটা আফ্রিকাকে দ্বিখণ্ডিত করার কোনো প্রক্রিয়া শুরু হলো কি না! সবাই ধাঁধায় পড়ে গেলেও ভূ-গবেষকদের কেউ কেউ বলছেন, এটা ভূকম্পনজনিত ফাটল হতে পারে।
কিন্তু স্থানীয় লোকজন বলেছে, সাম্প্রতিক ইতিহাসে এত বড় ভূকম্পন সেখানে হয়নি তার ফলে মাইলের পর মাইল টানা ফাটল সৃষ্টি হবে। দীর্ঘ নদীর মতো এই ফাটল দেখতে স্থানীয়রা ছাড়াও অন্য দেশ থেকেও অনেক কৌতূহলী মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।
আরেকটি পক্ষ বলছে, পৃথিবীর ভৌগলিক অবস্থানের স্থায়ী কোনো রূপ নেই। আজ আমরা যে মহাদেশ কিংবা দেশকে যে স্থানে দেখছি, কোটি কোটি বছর আগে তা সেখানে ছিল না। ভূ-প্রাকৃতিক বিভিন্ন কারণে এদের অবস্থান পরিবর্তন হয়েছে।
সৌরজগতের সবগুলো গ্রহ সূর্যকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। এদের একটির উপর অন্যটির আকর্ষণ বল কাজ করে। এই আকর্ষণ শক্তিও ভৌগলিক অবস্থানের পরিবর্তন ঘটার পেছনে একটি কারণ হিসাবে কাজ করে। আফ্রিকার এই ফাটল তেমন কোনো ঘটনার ইঙ্গিত কি না তা নিয়ে ব্যাপক গবেষণার প্রয়োজন আছে।
ভূতত্ত্ববিদরা বলছেন, প্রাকৃতিক অবস্থান পরিবর্তনের বড় উদাহরণ হচ্ছে দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগর। মূলত ১৩৮ মিলিয়ন বছর আগে দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকা ভেঙে পৃথক হবার কারণে এটির সৃষ্টি হয়। তাই এই ফাটল মহাসাগর সৃষ্টি করতে না পারলেও ছোটখাটো নদীর জন্ম দিলেও অবাক হবার কিছু থাকবে না।-সিএনএন।