২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে কাতারে। কাতারের ইতিহাসে এতো বড় ক্রীড়াযজ্ঞ আয়োজনের আর কোনো নজির নেই। কাতার তাই চাইছে এই আসর দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিতে। সেই চমকের শুরুতেই তারা বানাচ্ছে অবিশ্বাস্য সুন্দর সব স্টেডিয়াম। এরই ধারাবাহিকতায় তারা কাতারের প্রাণকেন্দ্রে তৈরি করেছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়ামের বৈশিষ্ট হলো, এটি কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। বিশ্বকাপের পাঁচ বছর আগেই প্রস্তুত হয়ে গেছে স্টেডিয়ামটি।
বিশ্বকাপের পাঁচ বছর আগেই স্টেডিয়ামটির সব ধরনের নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। গত শুক্রবার কাতারের স্থানীয় লিগের একটি ফাইনাল ম্যাচ আয়োজন করা হয়েছে স্টেডিয়ামটিতে। এরই মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো খলিফা স্টেডিয়ামের যাত্রা।
স্টেডিয়ামটির ধারণ ক্ষমতা ৪০ হাজার। খেলার চলার সময়ে এতো সংখ্যক দর্শক এবং মাঠের খেলোয়াড়, সবাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার মধ্যে থাকবেন। এই ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য বহু অর্থ খরচ করেছে কাতার কর্তৃপক্ষ।
তাদের দাবি, এই শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী এবং টেকসই। দীর্ঘ সময় সচল থাকবে এই ব্যবস্থা। ফলে তীব্র গরমের মৌসুমেও আরামে খেলতে পারবেন ফুটবলাররা। দর্শকরাও আরামে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।
বিশ্বকাপের আগে আরো কয়েকটি স্টেডিয়াম বানাবে কাতার। আগামী দুই থেকে চার বছরের মধ্যেই সেগুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছে কাতার কর্তৃপক্ষ।