চীনের উহান থেকে শুরু করে সারা বিশ্বের প্রায় ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পরে করোনাভাইরাস। প্রতিদিনই নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যাটাও।
গত ২৪ ঘণ্টায় সারা পৃথিবীতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো সাড়ে ৫ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে নতুন করে আরো প্রায় তিন লাখ মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে কোভিড-১৯ নামের ভাইরাসটি। এ নিয়ে এই বৈশ্বিক মহামারীতে মৃতের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯৯ হাজারের কাছাকাছি। সরকারি হিসেবে, মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৩ কোটি সাড়ে ৩০ লাখের বেশি।
পরিসংখ্যানভিত্তিক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার’র তথ্য মতে, আজ ২৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার সকাল সোয়া ৯টা পর্যন্ত সারা পৃথিবীতে করোনায় আক্রান্ত বেড়ে ৩ কোটি ৩০ লাখ ৫৫ হাজার ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২১ জন ইতোমধ্যে মারা গেছেন। বিপরীতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬ হাজার ১২২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৭৫ লাখ ৫০ হাজার ১৯৪ জন করোনারোগী, যাদের মধ্যে ৬৩ হাজার ৩০৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত পৃথিবীর সর্বোচ্চসংখ্যক মানুষের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ সংখ্যা বেড়ে ৭২ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬১ জনে দাঁড়িয়েছে। ভারতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯ লাখ ৯০ হাজার ৫৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ব্রাজিলে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ লাখ ১৮ হাজার ১১৫ জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ায় চতুর্থ সর্বোচ্চ ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭১ জন ও কলম্বিয়ায় পঞ্চম সর্বোচ্চ ৮ লাখ ৬ হাজার ৩৮ জনের কোভিড-১৯ ধরা পড়েছে।
শীর্ষ দশে থাকা অন্য দেশগুলো হলো— পেরু (৮ লাখ ১৪২ জন), স্পেন (৭ লাখ ৩৫ হাজার ১৯৮ জন), মেক্সিকো (৭ লাখ ২৬ হাজার ৪৩১ জন), আর্জেন্টিনা (৭ লাখ ২ হাজার ৪৮৪ জন) ও দক্ষিণ আফ্রিকা (৬ লাখ ৬৯ হাজার ৪৯৮ জন)।
কোভিড-১৯ মহামারীর প্রাণহানিতেও শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৯ হাজার ১৭৭ জনে দাঁড়িয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১ লাখ ৪১ হাজার ৪৪১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে ব্রাজিলে। ভারতে মারা গেছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার ৫৩৪ জন। এছাড়া মেক্সিকোতে চতুর্থ সর্বোচ্চ ৭৬ হাজার ২৮৩ জন ও যুক্তরাজ্যে পঞ্চম সর্বোচ্চ ৪১ হাজার ৯৭১ জনের প্রাণ কেড়েছে করোনা।
এ হিসেবে শীর্ষ দশে রয়েছে— ইতালি (মৃত্যু ৩৫ হাজার ৮১৮ জন), পেরু (মৃত্যু ৩২ হাজার ১৪২ জন), ফ্রান্স (মৃত্যু ৩১ হাজার ৭০০ জন), স্পেন (মৃত্যু ৩১ হাজার ২৩২ জন) ও ইরান (মৃত্যু ২৫ হাজার ৩৯৪ জন)।