রাশিয়া তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী সাবমেরিন পানিতে নামিয়েছে। রাশিয়ান বিশেষজ্ঞদের দাবি এটিই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী আক্রমণাত্মক সাবমেরিন। রাশিয়া এই সাবমেরিনটির নাম দিয়েছে কাজান। কাজান সাবমেরিনটি চালুর খবর নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট ও ফক্স নিউজ। রাশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় বন্দর সেভারোদভিসিস্কে ডুবোজাহাজ এটি সমুদ্রে নামানো হয়।
জানা গেছে, সাগরে বিশেষ পরীক্ষা শেষ করার পর ২০১৮ সালের দিকে রুশ নৌবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই সাবমেরিনটি। নতুন এই সাবমেরিন হাতে পাওয়ার পর রুশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল ভ্লাদিমির কোরোলেভে বলেছেন, সাগরে টহল দেওয়ার ক্ষেত্রে রুশ নৌবাহিনী এখন প্রাক্তন সোভিয়েত আমলের মত শক্তিশালী পর্যায়ে চলে গেছে।
তিনি জানান, কাজানের মত আরও চারটি ডুবোজাহাজ আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে তৈরি করা হবে বলে। জাহাজটিতে তিনশো টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্র সজ্জিত করা যাবে। রাশিয়ান রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস জানিয়েছে, নতুন এ সাবমেরিন শত্রুপক্ষের যেকোন শ্রেণির সাবমেরিনকে ধ্বংস করতে এবং নৌঘাটি ও বন্দর ধ্বংস করতে সক্ষম। এতে ৯০ জন ক্রু থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সাবমেরিনটি পানির ৬০০ মিটার নিচে নেমে বাইরের কোনো সহায়তা ছাড়েই এটি ১০০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে থাকতে সক্ষম।
এতদিন ধরে যেই আকুলা শ্রেণির জাহাজকে রুশ নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাটাক সাবমেরিন হিসেবে গণ্য করা হত এখন থেকে আর সেই মাত্রা থাকছে না। রুশ নৌবাহিনীর প্রচলিত ডুবোজাহাজ বাহিনীর পুরনো ‘আকুলা শ্রেণির ডুবোজাহাজের পরিবর্তে এখন থেকে ইয়াসেন এম শ্রেণির জাহাজ যুক্ত হবে। কাজান ডুবোজাহাজটি এম ইয়াসেন শ্রেণির একটি জাহাজ।
অন্যিদিকে রাশিয়ার নতুন এই অত্যাধুনিক সাবমেরিন বহর নিয়ে গভীর উদ্বেগে পড়েছে আমেরিকা। ২০১৬ সালে মার্কিন ৬ষ্ঠ নৌবহরের কমান্ডার ভাইস অ্যাডমিরাল তৃতীয় জেমস ফোগো আমেরিকার ন্যাভাল ইন্সটিটিউট ম্যাগাজিনে এই প্রসঙ্গে লিখেছিলেন, ‘রাশিয়ার অত্যাধুনিক সাবমেরিন বহর সমুদ্রে ন্যাটোর প্রাধান্যকে চ্যালেঞ্জে ফেলে দিয়েছে।’