ডিএমপি নিউজ: আজ (মঙ্গলবার) থেকে প্রথম দেশ হিসেবে ‘ফাইজার’ ও ‘বায়োএনটেক’ উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার প্রয়োগ শুরু করবে বৃটেন। এটি জাতীয় বৃটেনের জীবনে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। মরণব্যাধি করোনা নিয়ে উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আর আতঙ্ক নিরসনের শুভ সূচনার দিন।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসাবে গত ২রা ডিসেম্বর ফাইজার/বায়োএনটেকের করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দেয় বৃটেন। টিকা দেয়ার দায়িত্বে রয়েছে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস)। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের প্রথম ধাপে এই টিকা দেয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকা স্বাস্থ্যকর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়স্ক লোকজন ও কেয়ারহোমের কর্মীরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনার টিকা পাবেন।
বরিস জনসন সরকার ইতিমধ্যেই বৃটেনের ২ কোটি মানুষের জন্য ৪ কোটি ডোজের ব্যবস্থা করেছেন। প্রত্যেককে দু’টি ডোজ টিকা দেওয়া হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রদানের সূচনাকে একটি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তবে তিনি জনস্বাস্থ্য রক্ষায় সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতনতা মূলক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
টিকা প্রদানের কেন্দ্র হিসেবে সারা দেশে ৫০টি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও নর্দান আয়ারল্যান্ডেও আজ টিকা দেয়ার কাজ শুরু হবে। সব জায়গাতে হাসপাতাল থেকেই প্রাথমিক ভাবে টিকা দেয়া শুরু হবে।
মার্কিন কোম্পানি ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত এ টিকার বিশেষ কন্টেইনার বেলজিয়াম থেকে বৃটেনে এসে পৌঁছেছে। এগুলো সুরক্ষিত গোপন স্থানে রাখা হয়। যেখান থেকে যেসব হাসপাতালে টিকা দেয়া হবে সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা, এমএইচআরএ বলছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ সক্ষম এই টিকাটি এখন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকার প্রয়োগ শুরু হলেও মানুষজনকে এখনো সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে এবং করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে স্বাস্থ্য সতর্কতার নিয়ম কানুন কড়াকড়ি ভাবে পালন করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং মাস্ক ব্যবহার করা আবশ্যক হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে। করোনার কোন উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষা করাতে হবে এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখতে হবে।