ডিএমপি নিউজ: বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটারের প্রযোজনায় “অচলায়তনের অপ্সরী” নাটকের ৭ম মঞ্চায়ন হবে বৃহস্পতিবার।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ পুলিশ থিয়েটার অ্যান্ড কালচারাল ক্লাবের পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহিদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বার্তায় বলা হয়, আগামী বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি.) সন্ধ্যা ০৭:০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে “অচলায়তনের অপ্সরী” নাটকটির ৭ম মঞ্চায়ন অনুষ্ঠিত হবে।
বার্তায় আরো বলা হয়, খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতকে এথেন্সের আইন প্রনেতা মি. সোলেন সর্ব প্রথম পতিতাবৃত্তিকে আইনী বৈধতা দিয়েছিলেন। তারপর থেকে দেশে দেশে বৈধতা পেতে থাকে সামাজিকভাবে ঘৃনীত এই পেশাটি। আমাদের উপমহাদেশেও মুঘল, ফিরিঙ্গীরা এসে তাদের সৈন্যদের মনোরঞ্জনের জন্য পতিতালয় স্থাপন করে। জোরপূর্বক এই পেশায় নিয়োজিত করা হয় ভারতীয় নারীদের। সেই ধারাবাহিকতারই অংশ দৌলতদিয়া পতিতাপল্লী। এখানে বিক্রি হওয়া এক তরুনী নিজেকে বাঁচাতে গিয়ে উপলব্ধি করে প্রভাবশালীদের দ্বারা তৈরি এটি একটি শক্ত অচলায়তন। উপলব্ধি করে কোন স্বাধীনতা কোন মানবাধিকার নেই এখানকার বাসিন্দাদের। এমনকি এদের সন্তানরাও এই অচলায়তনে বন্দী। তাদের কণ্যা সন্তানরা বাধ্য হন মায়ের পেশা গ্রহণ করতে। এরই মধ্যে দেখা পায় একজন পুলিশ অফিসারের। যিনি এগিয়ে আসেন এদের মানবাধিকার রক্ষায়। প্রচেষ্টা চালান তাদের সন্তানদের সমাজের মূল ধারায় নিয়ে আসতে। উদ্যোগ গ্রহণ করেন মৃত্যুর পর এখানকার মেয়েদের লাশ দাফন কাফনের ব্যবস্থা করার। যে লাশ গুলি পূর্বে ভাসিয়ে দেয়া হতো নদীর পানিতে। পতিতাপল্লীর নাম বদলে করে দেন “দৌলতদিয়া বাজার পূর্ব পাড়া”। ওই পুলিশ অফিসারকে সহায়তা করতো মেয়েটি। একারনেই প্রভাবশালীদের রোষানলে পড়ে সে। খুনের অভিযোগে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয় তাকে।
দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীকে উপজীব্য করে সত্যাশ্রয়ী, গবেষনালব্ধ “অচলায়তনের অব্দরী” নাটকটির কাহিনী এভাবেই গড়ে উঠেছে। যেখানে আরো দেখা যায় সামাজিকভাবে একঘরে হয়ে থাকলেও তাদের মধ্যেও রয়েছে কমিউনিটি বন্ধন। তাদেরও নাড়া দেয় মাতৃস্নেহ, তাদের মধ্যে ও জাগে প্রেম, তাদের মধ্যে ও রয়েছে শ্রেণী চেতনা, তারাও চায় সমাজের মূল ধারায় ফিরে আসতে।