ট্রাম্পের সাথে আবারও একসঙ্গে বসার ইচ্ছে প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। চিঠির জবাবে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, তারা দুই নেতার আরেকটি বৈঠকের সময়সূচি নির্ধারণে কাজ শুরু করে দিয়েছে। উত্তর কোরিয়ার চলমান পরমাণু কর্মসূচি আন্তর্জাতিক নীতিমালা লঙ্ঘন করছে—জাতিসংঘ এমন অভিযোগ তোলার এক দিন পরই ট্রাম্পকে এ ‘ইতিবাচক’ চিঠি পাঠালেন উন।
এর আগে গত মার্চে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বৈঠকের আমন্ত্রণ জানান তিনি। ওই আমন্ত্রণের সূত্র ধরেই গত ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ঐতিহাসিক বৈঠক হয় দুই নেতার মধ্যে। সেখানে দুই নেতা একটি ‘প্রতিশ্রুতিপত্রে’ সই করেন। তাতে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার স্থিতিশীলতার নিশ্চয়তা দেবে এবং এর বিনিময়ে পিয়ংইয়ং কাজ করবে কোরীয় উপদ্বীপকে পরমাণু অস্ত্রমুক্ত করতে।
দুই নেতার প্রথম বৈঠকের পর প্রায় তিন মাস পার হলেও শান্তি প্রক্রিয়ায় আর কোনো অগ্রগতি ঘটেনি। এ অবস্থায় নতুন বৈঠকের ব্যাপারে জানতে চেয়ে গত সোমবার ট্রাম্পকে আরেকটি চিঠি পাঠালেন উন।
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার শান্তি আলোচনার অন্যতম মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে–ইন। গতকাল মঙ্গলবার তিনি উনের চিঠির প্রশংসা করেছেন। মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ এমন একটি ইস্যু, যেটা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়ার সমঝোতার মাধ্যমে হতে হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের ক্ষেত্রে ট্রাম্প এবং উনকে আরো সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে।’ উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহে পিয়ংইয়ং (উত্তর কোরিয়ার রাজধানী) সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে মুনের। সেখানে তিনি উনের সঙ্গে বৈঠক করবেন।