অভিনয় নিয়ে ব্যস্ত থাকেন দেব। তবে ব্যস্ততার মাঝে বাড়ির লোককে সময় দিতে একেবারেই ভোলেন না তিনি। সামনেই রাখি-বন্ধন। ভাই বোনদের জন্য এক বিশেষ দিন। এই উপলক্ষে বোনকে আগে থেকেই স্পেশাল উপহার দিলেন দেব।
উপহার ছোট হোক বা বড় ভাইয়ের কাছ থেকে পাওয়া সব উপহারই বোনেদের পছন্দের। তবে দেব তার বোনকে কিছু গিফট করবেন,আর সেটা স্পেশাল কিছু হবে না তাকিকরে হয়। তাই গিফট হিসাবে একটি বিউটি পার্লার উপহার দিলেন তিনি।
কিছুদিন আগেও ‘টলি টেলস’ রেস্টুরেন্ট কিনে নিজের বাবা কে উপহার দিয়েছিলেন তিনি।’গ্লফ গ্রিন আরবান কমপ্লেক্সে’ ‘SPARSH’ নামে এই পার্লারের উদ্ভধন হল মঙ্গলবার। সম্পর্কের এই ছোট ছোট উপহার বা অনুষ্ঠানই তো সম্পর্ক কে আরও অটুট করে তোলে।
এবার কথা বলা যাক, দেবের আপকামিং ছবি ‘হইচই আনলিমিটেড’ নিয়ে। চিত্রনাট্য অনুযায়ী, এই ছবিতে এক বড় শিল্পপতির ঘরজামাই উত্তীয় (দেব)। তাঁর স্ত্রী (কৌশানি) সমসময় পুজোপাঠ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। যা উত্তীয়র জীবনের সব থেকে বড় সমস্যা। যেমন প্রোমোটার বিজনের (খরাজ) জীবন তাঁর দুই স্ত্রীকে নিয়ে সমস্যায় জর্জরিত। আসলে বিজনের দু’বউ। কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানসী সিনহা। অথচ কেউ কারও কথা জানে না! তাই সারাক্ষণ বিজনের একটি ভয় কাজ করে, পাছে তাঁর এক বউ অন্য বউয়ের অস্তিত্বের কথা টের পেরে যায়।
এদিকে অবিবাহিত হয়েও রিটায়ার্ড ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট অনিমেষ চাকলাদারের (শাশ্বত) জীবনে শান্তি নেই। কারণ সুদীপ্তা চক্রবর্তী। সে এ ছবির গুন্ডা। ইনি প্রায়ই অনিমেষকে হুমকি দেয় বাড়িটা তার নামে লিখে দেওয়ার জন্য। অন্যদিকে বউয়ের জন্য মনে শান্তি নেই গ্যারাজ মেকানিক আজমল খানের (অর্ণ)। কারণ অভিনেত্রী হতে চাওয়া তার বউ (রোজা পারমিতা) মনে করে, এই কালিঝুলি মাখা মানুষটি তার বর হওয়ার যোগ্য নয়।
সুতরাং কারও মনেই শান্তি নেই। তাই শান্তির খোঁজে তারা সবাই উজবেকিস্তানে ঘুরতে যায়। সেখানে গিয়ে তাদের একে-অপরের সঙ্গে আলাপ হয়। এই সরফে তাদের গাইড ললিতা ঝুরঝুরোস্কির (পূজা বন্দ্যোপাধ্যায়)। বিদেশে ঘুরতে গিয়ে ঘটনাচক্রে তৈরি হয় এমন সমস্যা, যা রীতি মতো হইচই বাধিয়ে দেয় তাদের জীবনে। সেটা কী? উত্তর মিলবে ছবির পর্দায়।