দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে ব্যাংকারদের উদ্যোক্তা বিকাশে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমান।
তিনি ব্যাংকারদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘কেবলমাত্র ঋণ বিতরণ ও আদায়ের মধ্যে আপনাদের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। যাদেরকে ঋণ দিচ্ছেন, তারা ঋণের অর্থ সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে কি-না সেটাও আপনাদের দেখতে হবে। এজন্য ঋণ গ্রহণকারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে সৃষ্টির কাজ করতে হবে। উদ্যোক্তা বিকাশ ঘটাতে পারলে ঋণগ্রহণকারী ব্যক্তিগতভাবে যেমন লাভবান হবেন, তেমনি নতুন কর্মসংস্থানও তৈরি হবে।’
শনিবার ঢাকায় বিদ্যুৎ ভবনে কর্মসংস্থান ব্যাংকের (কেবি) বার্ষিক ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে (কেবি) পরিচালনা পর্যদের চেয়ারম্যান পরীক্ষিৎ দত্ত চৌধুরী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আলমগীর, মহাব্যবস্থাপক গোকুল চন্দ্র রায় প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ কমানোর পরামর্শ দিয়ে ইউনুসুর রহমান বলেন, অন্যান্য রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ব্যাংকের তুলনায় কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণর হার ও ঋণ আদায়ের পরিস্থিতি ভাল। তবে শ্রেনীকৃত ঋণের পরিমাণ এখন ৮ শতাংশ, এটা কোনভাবেই যেন বৃদ্ধি না পায়। বরং এটাকে আরো কমানোর বিষয়ে সতর্ক হতে হবে। একইসাথে তিনি ঋণ আদায় বাড়ানোর প্রতি আরো মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, বড় ঋণ আদায় করা কঠিন এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য বড় ঋণের পরিবর্তে আমাদেরকে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ঋণের (এসএমই) দিকে ঝুঁকতে হবে। এতে ঋণ আদায় যেমন সহজ, তেমনি বেশি সংখ্যায় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়।
অনুষ্ঠানে পরীক্ষিৎ দত্ত চৌধুরী বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো- বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান তৈরি করা। ব্যাংকের কার্যক্রম সম্প্রারণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দেন তিনি।
সভায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ব্যাংকের ঋণ বিতরণ, ঋণ আদায় ও শ্রেণীকৃত ঋণ আদায়সহ অন্যান্য লক্ষ্য অর্জনের বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে ব্যাংকের নির্বাহীরা ছাড়াও শাখা ব্যবস্থাপক ও আঞ্চলিক ব্যবস্থাপকরা উপস্থিত ছিলেন।