আগামীকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে আগাম সাধারণ নির্বাচন। কড়া নিরাপত্তার মাঝে শেষদিনের প্রচারণা চলছে। ব্রিটেনে নির্বাচনের প্রচারণার মধ্যেই মাত্র ১২ দিনের ব্যবধানে লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে । যার প্রেক্ষাপটে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মাঝে শেষদিনের প্রচারণা চলছে ব্রিটেনে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, নির্বাচিত হলে সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় মানবাধিকার আইন পরিবর্তন করবেন তিনি। বিদেশী সন্ত্রাসী হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া সহজ করার এবং বর্তমান হুমকি হিসেবে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের স্বাধীনতা ও চলাফেরায় নিয়ন্ত্রণ করার কথাও বলেন তিনি। তবে লেবার পার্টির বক্তব্য এমন কোনো বার্তা আমরা দিতে চাই না।
মে আরো বলেছেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি মোকাবেলার ক্ষেত্রে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর কাজকে বাধাগ্রস্ত করে মানবাধিকার বিষয়ক এমন যেকোনো ধরনের আইনের পরিবর্তন আনতে প্রস্তুত আছে তার সরকার।খবর বিবিসি ও সিএনএন’র।
লন্ডনে শনিবারের সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষাপটে তার এই নতুন প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল। তিনি বলেন, যদি মানবাধিকার আইন আমাদের কাজে বাধা হয়ে দাড়ায় তাহলে আমরা আমাদের আইন বদলে ফেলবো। তিনি আরো বলেছেন ‘যখন আমরা হুমকির মুখে তখন যেকোনো পরিবর্তনই জটিল হয়ে দাড়ায়। আমরা নিশ্চিত করতে চাই আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী এবং গোয়েন্দাদের হাতে যেন যথেষ্ট ক্ষমতা থাকে।’
অর্থাৎ রক্ষণশীলরা বলছে, যদি মে পুনরায় নির্বাচিত হন তাহলে তার সরকার ইউরোপীয় মানবাধিকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলো বাদ দিতে প্রস্তুত। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করায় টোরি পার্টির সমালোচনা করেছে।
তবে নির্বাচনের প্রাক্কালে শেষ মুহূর্তে এসে জয় পাওয়ার ব্যাপারে শঙ্কায় পড়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। গত মাসে লেবার পার্টির চেয়ে ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে ছিল কনজারভেটিভরা। কিন্তু নির্বাচনের আগের দিন দুই দলের রেটিং ব্যবধান মাত্র এক পয়েন্টের। সবশেষ পরিচালিত এক জরিপের ফলাফল অনুযায়ী তাই কনজারভেটিভ প্রার্থী থেরেসা মে’র সঙ্গে লেবার নেতা জেরেমি করবিনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হতে যাচ্ছে।
জরিপে দেখা যায়, গত মাসে লেবার পার্টির চেয়ে ১৬ পয়েন্টে এগিয়ে থাকার সুবিধা হারিয়েছে কনজারভেটিভরা। সার্ভশেনের একটি জরিপে দেখা যায়, এখন কনজারভেটিভদের রেটিং পয়েন্ট ৪১.৫ শতাংশ এবং লেবারের পয়েন্ট ৪০.৪ শতাংশ। লিবারেল ডেমোক্রেটদের পয়েন্ট ৬ এবং ইউকেআইপি এর পয়েন্ট ৩ শতাংশ।