২০১৫ সালের নির্বাচনে লেবার পার্টি থেকে নির্বাচন করে তিনজনই জয়ী হয়েছিলেন।
গত মঙ্গলবার আচমকা মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঘোষণা দেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। পার্লামেন্টে তেরেসা মের মধ্যবর্তী নির্বাচনের প্রস্তাব পাস হওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়েছে।
আগামী ৮ জুন এ নির্বাচন করতে চান তিনি। হাতে আছে আর মাত্র ৫০ দিন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রেক্সিট নিয়ে আলোচনায় আরও শক্ত অবস্থানে থাকার জন্য এই নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের এ নেতা।
যুক্তরাজ্যের আগামী সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ২০২০ সালে। বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বে বিরোধী দল লেবার পার্টির জনপ্রিয়তায় কিছুটা ভাটা পড়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ধারণা, এখন নির্বাচন হলে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের সঙ্গে টেক্কা দেয়া বিরোধীদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবু নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে লেবার পার্টি।
টিউলিপ ২০১৫ সালের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির মনোনয়ন নিয়ে হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন আসনে ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
আসন্ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে টিউলিপ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হ্যাম্পসটেড ও কিলবার্ন এলাকার সবার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে যেতে চাই।
’ তিনি বলেন, ‘আমার কাজের কেন্দ্রবিন্দুতে সব সময় স্থানীয়রাই ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর সাপ্তাহিক প্রশ্নোত্তর পর্বে আমি সরাসরি ডেভিড ক্যামেরন ও তেরেসা মেকে চ্যালেঞ্জ করেছি।
যদিও অনেকেই পার্লামেন্টে পেছনে সারিতে বসে থাকতেন। জুনিয়র ডাক্তারের সঙ্গে চুক্তি, স্থানীয় কর্তৃপক্ষের লোকবল ছাঁটাই, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নাগরিকদের নিরাপত্তা, নারীদের সমানাধিকার ও অন্যান্য স্থানীয় বিষয় সামনে তুলে ধরেছি।
গত নির্বাচনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর স্বল্প ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন লন্ডনের ইয়ালিং সেন্ট্রাল ও অ্যাকটনের বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক। তিনি জয়ী হয়েছিলেন ২৭৪ ভোটে। এবারও তিনি একই আসন থেকে নির্বাচনে লড়বেন।
অপরদিকে বেথানাল গ্রিন ও বো থেকে নির্বাচিত হওয়া রুশনারা আলী এবারও নির্বাচন করছেন। গত নির্বাচনে লেবার এমপি হিসেবে তিনি জিতেছিলেন ২৪ হাজার ৩১৭ ভোটে।
বর্তমানে ছায়া মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালনরত রুশনারা আলী ২০১০ সালেও এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তখন ব্যবধান ছিল ১১ হাজার ৫৭৪ ভোট। ২০১৫ সালের নির্বাচনে দ্বিগুণ ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।