ইন্দোনেশিয়ায় ১৮৯ জন যাত্রী নিয়ে লায়ন এয়ারের ফ্লাইট বোয়িং ৭৩৭-ম্যাক্স ৮ বিমানটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়ে বিমানের সকল আরোহীর মৃত্যু হয়। বিধ্বস্ত বিমানের উদ্ধারকৃত ব্লাক বক্স পর্যবেক্ষণ করে জানা যায়, ইন্দোনেশিয়ায় জাকার্তা থেকে সুমাত্রা দ্বীপে যাওয়ার সময় সাগরে বিধ্বস্ত যাত্রীবাহী বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল।
তারা জানান, লায়ন এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-ম্যাক্স ৮ বিমানটির শেষ চার ফ্লাইটে বিমানের গতিসীমা পঠনে সমস্যা ছিল।
ব্ল্যাক বক্সের রেকর্ড থেকে জানা যায়, বিমানের গতিসীমা পঠনের যন্ত্রে ত্রুটি থাকায় পাইলট বুঝতে পারেননি বিমানটি ঠিক কত গতিতে চলছিল। যাতে লায়ন এয়ারের বিমানটি বিধ্বস্ত হয়ে যাত্রী ও ক্র সাবার দুর্ঘটনায় মারা যান।
এ দুর্ঘটনার পর ক্ষুব্ধ স্বজনরা সোমবার এক সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হন। স্বজনরা জানতে চান, বিমানটিতে সমস্যা থাকার পরও কেন সেটিকে উড়তে দেওয়া হলো। তারা চান, উদ্ধার অভিযানে যেন কোনো ক্ষান্ত না দেওয়া হয়।
নাজিব ফুকুওনি নামের এক স্বজন বলেন, ‘আমরাই এই দুর্ঘটনার শিকার। আমাদের স্থলে আপনারা থেকে একটু ভেবে দেখেন।’ ওই সম্মেলনে লায়ন এয়ারের প্রতিষ্ঠাতা রুশদি কিরানাও উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ স্বজনরা তার পদত্যাগ দাবি করেন। রুশদি কোনো কথা না বলে মাথা নিচু করে প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, বিমানের গতিসীমা পঠনে সমস্যার কথা জানা গেলেও ঠিক কী কারণে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি।
তথ্য : বিবিসি