ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর প্রগতি স্মরণীর কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় ছুরিকাঘাত করে কলেজ ছাত্র আশরাফুল আলম জাহিদ হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) উত্তর বিভাগ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির নাম- মোহাম্মদ উল্লাহ রাসেল ওরফে হৃদয় ওরফে নির্মল। হৃদয়কে ১২মে, ২০১৮ তারিখ বাগেরহাট জেলার মংলা থানা এলাকায় হতে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো মতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি কাফরুল থানাধীন পুলপাড় এলাকার ব্রিজের নিচের নর্দমা থেকে উদ্ধার করা হয়।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, গত ০২মে,২০১৮ তারিখ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ৮টার মধ্যে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন প্রগতি স্মরণীর কুড়িল চৌরাস্তা এলাকায় এসএসসি পরীক্ষার্থী আশরাফুল আলম জাহিদ ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। এ সময় আরো ৩ জন আহত হয়। ঘটনার পরে জানা যায় ভিকটিমসহ তার সমবয়সী কয়েকজন বন্ধু এবং একই সাথে চলাফেরা করে এমন কয়েকজন সিনিয়র সহপাঠীদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তি হৃদয় ভিকটিম জাহিদকে ছুরিকাঘাত করে এবং পরবর্তীতে জাহিদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ভাটারা থানায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং প্রকৃত আসামী গ্রেফতারে থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের গুলশান জোনাল টিম তদন্ত শুরু করে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২মে, ২০১৮ তারিখ বাগেরহাট জেলার মংলা থানা এলাকা হতে হত্যাকারী মোহাম্মদ উল্লাহ রাসেল ওরফে হৃদয় ওরফে নির্মলকে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তী সময়ে আসামীর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার দেখানো মতে বিশেষ অভিযান পরিচালনায় হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত হৃদয় জানায় যে, তার সাথে ভিকটিম জাহিদ এর ব্লুটুথ স্পীকার নিয়ে বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে উদ্ধারকৃত ছুরি দিয়ে সে ভিকটিম জাহিদকে হত্যা করে। ঘটনার সময় ভিকটিমকে বাচাঁতে এগিয়ে আসা হাসান, রিয়াজ ও বিপ্লবকেও সে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে গুরুতর আহত করে।
হত্যাকান্ডের পরপরই সে আত্মগোপনের উদ্দেশ্যে নিজের নাম পরিবর্তন করে ছদ্মনামে তাবলিগ জামায়াতে অংশ নেয়। উল্লিখিত আসামী ৪০ দিনের চিল্লায় বাগেরহাট জেলার মংলা থানা এলাকায় গেলে গোয়েন্দা পুলিশ তাকে সনাক্ত ও গ্রেফতার করে।