কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার প্রতিবাদ হিসেবে পাকিস্তান ভারতের হাইকমিশনার অজয় বিসারিয়াকে বহিষ্কার করেছে। ছিন্ন করা হয়েছে সবরকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক। কার্যত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার পথেই চলেছে পাকিস্তান।
বুধবার (৭ আগস্ট) পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জম্মু-কাশ্মীর নিয়ে ভারত সরকারের সিদ্ধান্তে পাকিস্তানে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। বিষয়টি জতিসংঘে তোলা হবে বলেও ঘোষণা করেছে পাকিস্তান সরকার।
গত মঙ্গলবারই ভারতের কাশ্মীর নিয়ে সিদ্ধান্ত ‘বেআইনি’ দাবি করে পাকিস্তানের পার্লামেন্টে কড়া বক্তব্য রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ভারতের সিদ্ধান্তের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন ইমরান খান।
এই বৈঠকেই ইসালামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থার খবর। এদিনের বৈঠকের পর মূলত পাঁচটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে পাকিস্তান সরকার। সরকারের অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক কমিয়ে দেবে ইসলামাবাদ। বন্ধ করে দেবে ভারত-পাক দ্বিপাক্ষিক বৈদেশিক বাণিজ্য। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক পর্যালোচনা করে পুনর্বিন্যাস করা হবে।
পাকিস্তান বরাবরই দাবি করে, কাশ্মীরের সমস্যা দ্বিপাক্ষিক নয়, আন্তর্জাতিক। বুধবারের বৈঠকে নিজেদের এই অবস্থানের প্রেক্ষিতেই ইমরান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ভারতের এই ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া হবে। যদিও ভারতের ঘোষিত নীতি হল, কাশ্মীর ইস্যু দ্বিপাক্ষিক। এছাড়া আগামী ১৪ই আগস্ট কাশ্মীরিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে পাকিস্তানে। জানা গেছে, নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত পাক হাইকমিশনারকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।