ভারতের কেরালা রাজ্যে বৃষ্টি–বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৬। গোটা রাজ্যেই প্রবল বর্ষণে ভূমিধসে প্রাণহানির খবর আসছে। তৃতীয়বার রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে রাজ্যে।
উত্তর কেরালার ইদুক্কি জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্য জায়গায়ও ব্যাপক বিপর্যয়ের ঘটন্ ঘটেছে। বুধবার থেকে টানা বৃষ্টিতে শুধু ইদুক্কি ও মালাপ্পুরমে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গত দুদিনে ১০ হাজার মানুষকে ১৫৭টি ত্রাণশিবিরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় পানির স্রোতের তোড়ে বাঁধের ২৪টি গেট খুলে দিতে হয়েছে। এর্নাকুলাম, আলাপ্পুঝা, ওয়েনাদ, কোজিকোড ও পালাক্কাদে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম কাজ করছে।
বিভিন্ন জায়গায় উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। নামানো হয়েছে পুলিশ ও দমকল বাহিনীকেও। নিচু এলাকায় উদ্ধারের কাজ চলছে। কয়েক লাখ বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে গেছে। কোচি বিমানবন্দরে উঠা–নামা বন্ধ রাখা হয়েছিল বন্যার আশঙ্কায়। পেরিয়ার নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। বাতিল করা হয়েছে আলাপ্পুঝায় নির্ধারিত নেহরু জাতীয় বোট রেস।
কেরালা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন বলেছেন, রাজ্যের পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক। শুক্রবার বন্যাদুর্গত জেলাগুলোতে স্কুল–কলেজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইদুক্কি জলাধারে চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করেছে বিদ্যুৎ দফতর। গত ২৬ বছরে এই প্রথম জলাধারের স্লুইস গেট খুলে দিতে হল।