ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ দিন ছিল ১১ মে, ১৯৯৮। গোটা বিশ্বের নজর এড়িয়ে এদিনই সফল পরমাণু বোমার পরীক্ষা করেছিল ভারত। তা জানতে পারেনি মার্কিন গোয়েন্দারাও। শত্রুদের বার্তা দিয়ে রাজস্থানের পোখরানে এক প্রত্যন্ত প্রান্তরে এই পরীক্ষা করেছিলেন দেশের বিজ্ঞানীরা।
আজ থেকে ঠিক ১৯ বছর আগের এমনই একদিনে ঘটেছিল সেই ঘটনা। সেই পরীক্ষার কোড নাম ছিল ‘স্মাইলিং বুদ্ধ’। এই দিনটিকে দেশে প্রযুক্তি দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
বৃহস্পতিবার পোখরানের সাফল্যের বর্ষপূর্তিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অভিবাদন জানিয়েছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে। প্রশংসা করেছেন তাঁর সাহসিকতারও।
আসুন জেনে নিই সে পোখরান-২ পরমাণু পরীক্ষা সম্পর্কে পাঁচটি বিশেষ তথ্য:
১. ১৯৯৮ সালে পোখরানে দ্বিতীয় পরমাণু পরীক্ষায় পরপর পাঁচটি আণবিক বোমা পরীক্ষা করেছিলেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা।
২.পোখরানে দ্বিতীয় পরমাণু পরীক্ষায় যে পাঁচটি পরমাণু বোমা ভারত উৎক্ষেপণ করেছিল, তার মধ্যে প্রথমটি ছিল শক্তিশালী হাইড্রোজেন বোমা। বাকিগুলি ছিল কম শক্তিশালী পরমাণু বোমা।
৩. এই পরমাণু পরীক্ষার পরে ভারতের বিপক্ষে চলে যায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে প্রাধান্য পাওয়া বেশকিছু দেশ। যার মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।
৪. ১৯৯৮ সালে ১১ মে পোখরানে ‘অপারেশন শক্তি’র দু’দিন পরেও অর্থাৎ ১৩ মে সেখানে পরীক্ষা করা হয়েছিল দুটি পরমাণু বোমা। এরপরেই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী সাংবাদিক সম্মেলন করে ভারতকে পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র বলে ঘোষণা করেন।
৫. এই পরমাণু পরীক্ষার একাধিক নাম দেওয়া হয়েছিল। যার মধ্যে অন্যতম ‘শক্তি-৯৮’। এছাড়া পরমাণু বোমাগুলির নাম ছিল যথাক্রমে শক্তি-১,২,৩,৪,৫।