ডোকালাম বিবাদের নিষ্পত্তির পর মঙ্গলবার ফের একবার মুখোমুখি ভারত-চিন৷ ব্রিকস সম্মেলনে চিনের জিয়ামেন শহরে এই মুহূর্তে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ মঙ্গলবার ভারতীয় সকালেই মোদী বিদেশমন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গিয়েছে৷ যদিও চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং-এর সঙ্গে ঠিক কোন কোন বিষয়ে মোদীর আলোচনা হবে সেই বিষয়টি এখনও পুরোপুরি স্পষ্ট নয়৷ ডোকালাম সমস্যা সমাধানের পর ভারত-চিনের এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে অনেকে৷খবর কলকাতা২৪।
প্রসঙ্গত, ব্রিকস সম্মেলনে পাঁচ দেশের যৌথ ঘোষণায় (জয়েন্ট ডিক্লেয়ারেশন) লস্কর-ই-তইবা কিংবা জয়েশ-ই-মহম্মদের মত পাক জঙ্গি সংগঠনকে নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার বার্তা দিতে গিয়ে উঠে এসেছে এইসব জঙ্গি সংগঠনের নাম। এছাড়াও সেই তালিকায় রয়েছে তালিবান, হাক্কানি নেটওয়ার্ক ও আইএসের নামও।
সোমবার ব্রিকসের প্লেনারি সেশনে উদ্বোধনী ভাষণ রাখেন চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং। তার আগে রবিবারই তিনি বলেন, ব্রিকস দেশগুলিতে উচিত উপমহাদেশে শান্তি বজায় রাখতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করা। যুদ্ধ নয় এবার কূটনীতিতেই ভরসা রাখলেন চিনা প্রেসিডেন্ট, সহযোগিতায় বিশ্বাসী মোদী ডোকলাম নিয়ে সংঘাতের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট জি জিংপিং। এর আগে জার্মানিতে একবার দুজনের মধ্যে সংক্ষিপ্ত কথা হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তাতে ডোকলাম সমস্যার সমাধান হয়নি। কিন্তু ব্রিকস সম্মেলনের ঠিক কিছুদিন আগেই আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
রবিবার মোদী জিয়ামেনে যখন পৌঁছন তখনই ব্রিকসের প্রাক্কালে, ভাষণে, চিনা প্রেসিডেন্ট কিছুটা সুর নরম করলেন বলেই মনে করা হয়। রবিবার সামরিক অভিযানের প্রসঙ্গ না তুলে কূটনীতিকেই আসল হাতিয়ার করেন চিনা প্রেসিডেন্ট।