ডিএমপি নিউজ : সেনজেন ভিসা জালিয়াতির অভিযোগে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিকিউরিটিম্যান ও কুয়েত এয়ারওয়েজের বুকিং অ্যাসিস্ট্যান্টসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও এপিবিএন-এর যৌথ টিম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো এই চক্রের দুই হোতা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ কবির হোসেন। অপর তিনজন হলো জানে আলম, সাব্বির মিয়া ও সম্রাট সওদাগর।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ রাকিবুল হাসান ডিএমপি নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অনেকদিন ধরেই বিমানবন্দর কেন্দ্রিক বিভিন্ন সংস্থার নিম্নপদস্থ কর্মচারী, কিছু জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, এয়ারলাইন্স/ট্রাভেলিং এজেন্সির লোকজন এবং দক্ষ কম্পিউটার অপারেটররা একটা শক্তিশালী চক্র বানিয়েছে যারা ট্যুরিস্ট ভিসায় অথবা ভুয়া ভিসায় বাংলাদেশ থেকে প্রাচ্য, মধ্যপ্রাচ্য এবং সেনজেনভুক্ত বিভিন্ন দেশে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময় বাংলাদেশি যুবকদেরকে পাঠাতো। এ ধরনের অনেক ভিকটিম/অপরাধী বাংলাদেশেই ধরা পড়ে। অনেকে মধ্যবর্তী দেশে ধরা পড়ে বাংলাদেশে ফেরত আসে। আর অধিকাংশই যেসব দেশে যায় সেখানে ধরা পড়ে জেলে যেতে হয়। অনেকদিন ধরেই চক্রটিকে ধরার জন্য বিমানবন্দর এপিবিএন ইমিগ্রেশন এবং ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ নজর রাখছিলো।
তিনি জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথম প্রহরে হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল-২ এর পূর্ব পাশে কিছু লোক অবৈধভাবে জাল ভিসা ব্যবহার করে পরস্পর যোগসাজসে বিদেশে যাওয়ার পাঁয়তারা করছেলো। বিষয়টি বুঝতে পেরে এপিবিএন সদস্যরা তাদেরকে কৌশলে নজরদারিতে রেখে ডিবি পুলিশকে খবর দেয়। পরবর্তী সময়ে এপিবিএন এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যৌথভাবে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চক্রের দুই হোতাসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের নিকট হতে তিনটি পাসপোর্ট, তিনটি জাল ভিসা, চারটি জাতীয় পরিচয়পত্র, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের স্পেশাল কার্ড, চারটি মাস্টার/ভিসা কার্ড, পাঁচটি মোবাইল ফোন, তিনটি ই-টিকেট, ওয়ার্ক পারমিট ও ভিসা সংশ্লিষ্ট ছয় পাতা জাল ডকুমেন্ট, একটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নগদ ১৬ হাজার টাকা জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত তিন যাত্রী স্বীকার করেছে, ১৬-১৮ লক্ষ টাকা দালালদেরকে দিয়ে অবৈধ পথে ফ্রান্স, ইতালি এবং গ্রিসে যাচ্ছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান ডিএমপির গোয়েন্দা এই পুলিশ কর্মকর্তা।