ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা (পূর্ব) বিভাগের একটি টিম গত ১৭ জুলাই, ২০১৭ সোমবার ১৪.৫০ টায় রাজধানীর দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতির প্রস্তুতি কালে ভুয়া ডিবি পরিচয়দানকারী আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ১২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হল- মোঃ বারেক মিয়া, মোঃ গফ্ফার আহমেদ, মোঃ মনির হোসেন, রাসেল বর্ষ ওরফে বর্ষা, মোঃ আল আমিন ওরফে দিপু, মোঃ মোর্শেদ ওরফে মিন্টু, মোঃ সবুজ হোসেন শ্যামল, ওরনি আলম ওরফে ওরনী, মোঃ রিয়াজ, মোঃ মেহেদি হাসান ওরফে মেহেদি, ড্রাইভার মোঃ নাজমুল হাসান ওরফে এরশাদ ও মোঃ আরমান হোসেন ।
এ সময় তাদের হেফাজত হতে দুইটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলি ভর্তি দুইটি ম্যাগাজিন, একটি কাঠের লাঠি, একটি প্লাস্টিকের তৈরি কালো রংয়ের ওয়াকিটকি সদৃশ ওয়াকিটকি, দুইটি হ্যান্ডকাপ, দুইটি স্টেনলেস স্টীলের ধারালো চাকু, একটি চওড়া স্কচটেপ, একটি গামছা, একটি ডিবি জ্যাকেট এবং একটি সিলভার কালারের নোহা মাইক্রোবাস উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দুই বা তিনটা ছোট দলে বিভক্ত হয়ে কেউ ব্যাংকে অবস্থান করে টাকা উত্তোলনকারী গ্রাহকদের সম্পর্কে ব্যাংকের বাইরে অবস্থানকারী দলের কাছে তথ্য দেয়।
ব্যাংকের বাইরে থাকা দল গ্রাহকদের অনুসরণ করে এবং গাড়ীতে থাকা দলকে সুবিধা মত জায়গায় থাকতে বলে।
গ্রাহক ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিয়ে গাড়ীতে থাকা ডাকাত দলের সুবিধা মত জায়গায় আসলে ডাকাতদল তাদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে জোর করে গাড়ীতে তুলে এবং অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে চোখ বেঁধে ফেলে।
পরে মুখে স্কচটেপ পেঁচিয়ে গাড়ী নিয়ে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে থাকে। ভিকটিমের নিকট থাকা সমস্ত টাকা ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে তাকে চোখ বাঁধা অবস্থায় অথবা চোখে মলম লাগিয়ে সুবিধামত জায়গায় নামিয়ে দেয়।
গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায় যে, ৬ জুলাই, ২০১৭ তারিখে ব্রাক ব্যাংক ধোলাইপাড় শাখা হতে ৪,৮১,০০০ টাকা উত্তোলন করে জনৈক মোঃ মনির হোসেন এবং মোঃ মহিউদ্দিন রিক্সাযোগে যাওয়ার সময় সায়েদাবাদের ন্যাব ইনকর্পোরেশন নামক দোকানের সামনে থেকে তার রিক্সা আটকে জোর করে গাড়ীতে উঠায় এবং চোখ বেঁধে মারধর করে ব্রাক ব্যাংক থেকে উত্তোলিত এবং সাথে থাকা ৫০,০০০ টাকা সহ সর্বমোট ৫,৩৬,০০০ টাকা এবং একটি স্যামসাং মোবাইল সেট ছিনিয়ে নেয়।
পরে তাকে সাইনবোর্ড গিরিধারায় গাড়ী থামিয়ে নামিয়ে দেয়। ধৃত ডাকাত মোঃ বারেক মিয়ার স্বীকরোক্তি মোতাবেক তার স্ত্রী-সাম্মী আক্তার এর হেফাজত হতে ১,১৬,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।