ক্যাপ্টেন টিম পেইনের কাছ থেকে দরাজ সার্টিফিকেট পেলেন স্টিভ স্মিথ৷ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের দুই ইনিংসে ২১১ ও ৮২ রানের দু’টি অবিস্মরণীয় ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন স্মিথ৷ তার পরেই প্রাক্তন অজি অধিনায়কের ভূয়সী প্রশংসা করে টিম পেইন বলেন যে, তাঁর দেখা সেরা ক্রিকেটার হলেন স্টিভ স্মিথ৷
পেইনের কথায়, ‘আমার দেখা সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার হল স্টিভ স্মিথ৷ এই টেস্টে ও আবার সেটা প্রমাণ করেছে৷ ও খেলাটাকে দারুণ বোঝে এবং সুচারু বিশ্লেষণ করতে পারে৷’
চলতি অ্যাশেজের তিনটি টেস্টের পাঁচটি ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে স্মিথ ইতিমধ্যেই ১৩৪.২০ গড়ে ৬৭১ রান সংগ্রহ করেছেন৷ একটি ডাবল সেঞ্চুরিসহ মোট তিনটি তিন শতরান করেছেন তিনি৷ হাফসেঞ্চুরি করেছেন দু’টি৷ তাঁর ব্যক্তিগত ইনিংসগুলি যথাক্রমে ১৪৪, ১৪২, ৯২, ২১১ ও ৮২ রানের৷ স্বাভাবিকভাবেই এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী তিনি৷
১২ মাসের নির্বাসন কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে স্মিথের এই অবিস্মরণীয় কামব্যাক দেখে তাঁকে ‘অল টাইম গ্রেট’ বলতে কসুর করছেন না অনেকেই। চতুর্থ টেস্ট শুরুর আগেই কোহলিকে পিছনে ফেলে ফিরে পেয়েছেন শীর্ষস্থান।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ১৮৫ রানে জয়ের পর দলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ল্যাঙ্গার। স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অস্ট্রেলিয়া কোচ জানান, ‘ক্রিকেটের সব ফর্ম্যাটে কোহলির খেলা দেখার পর ওকেই আমার চোখে দেখা সেরা ব্যাটসম্যান মনে করতাম। কিন্তু স্মিথ…ভিন্ন গ্রহের।’ শুধু তাই নয় কঠিন সময়ে দলের ব্যাটিং অর্ডারে স্মিথকে ‘সমস্যার সমাধান’ বলে উল্লেখ করেছেন পেইনদের হেড স্যার। পাশাপাশি রানের প্রতি স্মিথের খিদের কথা উল্লেখ করে ল্যাঙ্গার বলেন, ‘আমি এমনটা কাউকে দেখিনি।’
স্মিথের পাশাপাশি ফাস্ট বোলার প্যাট কামিন্সেরও ভূয়সী প্রশংসা শোনা গিয়েছে অজিদের কোচের গলায়। র্যাংকিংয়ে পয়লা নম্বর বোলারকে নিয়ে বলতে গিয়ে ল্যাঙ্গার জানিয়েছেন, ‘সেরা ব্যাটসমানের পাশাপাশি সেরা বোলারও রয়েছে আমাদের দলে।’ উল্লেখ্য, ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে দু’ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট ঝুলিতে নিয়েছেন কামিন্স। যারমধ্যে চতুর্থ ইনিংসের শুরুতে রানের খাতায় ইংল্যান্ড কোনও রান যোগ করার আগেই উল্লেখযোগ্যভাবে একই ওভারে জোড়া উইকেট তুলে নেন প্যাট।
এমন দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পর স্মিথ বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই, এর থেকে ভালো ব্যাটিং আগে কখনও করেছি বলে৷ ক্রিজে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত দারুণ উপভোগ করেছি৷ এক বছর বাইরে থাকার পর তরতাজা হয়ে মাঠে ফিরেছি৷ স্বাভাবিকভাবেই চাপমুক্ত হয়ে ক্রিকেট খেলতে পারছি৷ ব্যক্তিগতভাবে আমি ক্রিকেট দেখতে নয়, দলের পারফরম্যান্সে অবদান রাখতে পছন্দ করি৷’