চলতি মাসের শুরুতে ফুটবল দর্শকদের মধ্যে ভয়াবহ দাঙ্গায় (Indonesia Football Stampede) ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) কানজুরুজান স্টেডিয়ামে ১৭৪ জনের বেশি মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। যা গোটা ফুটবলবিশ্বকে স্তব্ধ করে দেয়। ফুটবল ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়ে লেখা হয়ে যায় সেই স্টেডিয়ামের নাম। তাই স্টেডিয়ামটিকে এবার ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল ইন্দোনেশিয়া সরকার (Indonesian Government)। এই কাজে ইন্দোনেশিয়া সরকারকে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে ফিফা (FIFA)।
গত ১ অক্টোবর কানজুরুজান স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাব। ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নেয় পার্সেবায়া। কিন্তু ২০ বছরের বেশি সময় পর পার্সেবায়ার কাছে হারায় আরেমার সমর্থকরা ক্ষুব্ধ হয়ে মাঠে ঢুকে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে হুড়াহুড়ি শুরু হয়। স্টেডিয়ামের বেশির ভাগ গেট বন্ধ থাকায় বের হওয়া সম্ভব ছিল না। দাঙ্গা এবং পদদলিত হয়ে মারা যায় ১৭৪ জনের বেশি সাধারণ মানুষ।
ফিফার সভাপতি (FIFA President) জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও (Gianni Infantino) সঙ্গে আলোচনা শেষে ইন্দোনেশিয়ার সভাপতি জোকো উইদোদোর সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা মালাংয়ের কানজুরুজান স্টেডিয়াম ভেঙে ফেলব এবং ফিফার মান অনুযায়ী পুনর্নির্মাণ করব। সেখানে যথাযথ সুযোগ-সুবিধা থাকবে, যা দুই দলের ফুটবলার ও সমর্থক উভয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আমি ইন্দোনেশিয়ার সব মানুষকে যে নিশ্চয়তা দিতে পারি তা হলো, ফিফা এখানে আপনাদের পাশে আছে, ফিফা এখানে থাকতে এবং সরকার, এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন ও ইন্দোনেশিয়ার ফেডারেশনের সঙ্গে যৌথভাবে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এসেছে।’
মর্মান্তিক ঘটনার বিশদ রিপোর্ট আগেই তলব করা হয়েছিল ফিফার তরফ থেকে। এই মর্মান্তিক ঘটনার পর জিয়ান্নি ইনফান্তিনোও মুখ খুলেছিলেন। তাঁর মতে এটা ছিল ফুটবলের ইতিহাসে ‘কালো দিন’।
জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছিলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ায় একটা ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে যে ঘটনা সবার সামনে এসেছে সেটা আমাদের স্তম্ভিত করে দিয়েছে। পার্সেবায়া সুরাবায়া এবং আরেমা ফুটবল ক্লাবের মধ্যে ম্যাচে এমন ঘটনা ঘটতে পারে ভাবতেই পারছি না। বিশ্ব ফুটবলকে কেন্দ্র করে যত খারাপ ঘটনা ঘটেছে, এটা সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। আমার মতে এটা বিশ্ব ফুটবলের কালো দিন।’-জি নিউজ