মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটাক্ষ করলে উন্মুক্ত মঞ্চে পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন চালু করতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র ব্রুনাই। এছাড়াও সমকামিতা, পরকীয়া, ব্যাভিচার, চুরি ও ধর্ষণের মত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড জারি করতে যাচ্ছে দেশটি। ৩ এপ্রিল ২০১৯ (বুধবার) থেকে এই আইন দেশটিতে কার্যকর করা হবে।
১৯৮৪ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে আলাদা হলেও এখনো ব্রিটেনের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে ব্রুনাইয়ের। দেশটিতে শুরু থেকে অনেক বেশি ধর্মীক বলে পরিচিত। মুসলিম অধ্যুষিত ব্রুনাইয়ে মদ বিক্রি থেকে মদ্যপান সবটাই নিষিদ্ধ। এছাড়া জুয়াও দেশটিতে একপ্রকার নিষিদ্ধ।
তবে এই আইন জারি করতে যাওয়ায় দেশটি আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক অনেক মানবাধিকার সংস্থা ব্রুনাইয়ের এমন আইনের কড়া বিরোধিতা করছে। জাতিসংঘ ইতিমধ্যে ব্রুনাইয়ের এমন আইনকে ‘নিষ্ঠুর ও অমানবিক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এর কড়া সমালোচনা করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার প্রধান মিশেল ব্যাচলেট সোমবার এক বিবৃতিতে ব্রুনাইয়ের এই আইন কার্যকর না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া অনেক দেশ এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
ব্রুনাইয়ের সুলতান ২০১৩ সালে ইসলামি শরিয়া আইনে দেশ পরিচালনার ঘোষণা দেন।
তথ্যসূত্র: আল-জাজিরা, টাইমস, ইন্ডিপেন্ডেন্ট,ইউএন।