সুষম পুষ্টিকর খাদ্য ছাড়া মাছের সন্তোষজনক উৎপাদন আশা করা যায় না। সুষম খাদ্যের উপাদানগুলো হচ্ছে আমিষ, শ্বেতসার, ভিটামিন, তৈল, খনিজ লবণ ও পানি। প্রাকৃতিক নিয়মে পুকুরে মাছের যে খাবার (প্লাঙ্কটন) উৎপাদন হয়, তা মাছের সার্বিক পুষ্টি চাহিদা মেটাতে মোটেই যথেষ্ট নয়। জেলায় বাড়ছে মাছের উৎপাদন। চলতি বছরে উৎপাদন হবে ১৭ হাজার ৪৬ মেট্রিকটন। গত বছরে সেখানে উৎপাদন হয়েছিল ১৬ হাজার ২৩৪ মেট্রিকটন। খবর বাসসের
আজ মঙ্গলবার মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বেলা ১১টার দিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, জেলায় প্রতি বছর মাছের চাহিদা ৩৩ হাজার মেট্রিকটন। আগে ওই চাহিদার সিংহভাগ পূরণ হতো অন্য এলাকার মাছ দিয়ে। জেলার মানুষ মাছ চাষের আগ্রহী হওয়ায় গত বছর ওই চাহিদার অর্ধেক মিটছে এলাকার উৎপাদিত মাছ দিয়ে। চলতি বছরে যে পরিমাণ উৎপাদন হবে তাতে চাহিদার অর্ধেকের বেশী পূরণ হবে। সম্প্রতি সৈয়দপুর মৎস্য খামার ও নীলফামারী খামারে পোনা উৎপাদন শুরু হয়েছে। এতে মানুষ মাছ চাষে আগ্রহী হবে এবং উৎপাদন বেশি হবে। উৎপাদন বাড়তে থাকলে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে এ জেলা।
জেলা মৎস কর্মকর্তা হাসান ফেরদৌস সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সৈয়দপুর মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক তপন কুমার দাস, নীলফামারী খামার ব্যবস্থাপক খায়রুল আলম। বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যদিয়ে মৎস্য সপ্তাহের সমাপ্ত হবে আগামী ২৪ জুলাই।