ফিলিস্তিনের পবিত্র শহর জেরুজালেমে ১৪ মে উদ্বোধন করা হচ্ছে মার্কিন দূতাবাস। ইউরোপের অধিকাংশ দেশ মার্কিন দূতাবাসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরইমধ্যে ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি ও সুইডেন ইহুদিবাদী ইসরায়েলের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছে। এছাড়া, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, মেক্সিকো ও মিশর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বছর তেলআবিব থেকে মার্কিন দূতাবাস জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দেয়। ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ জানিয়েছে, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চার দিন আগেই সেদেশে অবস্থিত ৮৬টি দূতাবাসে আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩০টি দেশের রাষ্ট্রদূত আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
সোমবার জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন করা হবে কিন্তু সেখানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উপস্থিত থাকবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এর পরিবর্তে তার মেয়ে ইভাঙ্কা ও জামাই জারেড কুশনার উপস্থিত থাকবেন। মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধনের প্রতিবাদে হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বিক্ষোভ-প্রতিবাদে অংশ নেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে মার্কিন দূতাবাস উদ্বোধন উপলক্ষে গাজা সীমান্ত ও পশ্চিম তীরে সেনা মোতায়েন দ্বিগুণ করার কথা ঘোষণা করেছে ইসরায়েল। গত ৬ ডিসেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সমস্ত প্রতিবাদ ও আন্তর্জাতিক আইন উপেক্ষা করে বায়তুল মুকাদ্দাসকে ইহুদিবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং এ শহরে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে নেয়ার ঘোষণা দেন।