ডিএমপি নিউজঃ রাজধানীর মিরপুরে চাঞ্চল্যকর দন্তচিকিৎসক বুলবুল আহমেদ হত্যা মামলায় প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ। গ্রেফতারকৃতের নাম মোঃ রিপন।
বুধবার (১৫ জুন ২০২২) ঝালকাটি জেলার নলছিটি থানার ভৈরবপাশা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জুন ২০২২) বেলা ১২:০০ টায় ডিএমপির গোয়েন্দা অফিস কম্পাউন্ডে এক ব্রিফিংয়ে বিস্তারিত জানান যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি-উত্তর) (ডিআইজি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।
উল্লেখ্য, ভিকটিম বুলবুল আহমেদ পেশায় একজন দন্তচিকিৎসক ও ১ম শ্রেণির ঠিকাদার ছিলেন। নোয়াখালীতে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ পেয়ে গত ২৭ মার্চ ২০২২ তারিখ ভোর আনুমানিক ০৫:১৫ টায় নোয়াখালীর উদ্দেশ্য রওয়ানা হন। পশ্চিম শেওড়াপাড়ার আনন্দবাজার এলাকা হতে শেওড়াপাড়া বাস স্ট্যান্ডের দিকে রিকশায় যাওয়ার সময় ভোর আনুমানিক ০৫:৩০ টায় পশ্চিম কাজীপাড়ার বেগম রোকেয়া সরণিতে পৌঁছলে কতিপয় দুস্কৃতিকারী রিকশার গতিরোধ করে। দুস্কৃতকারীরা ভিকটিমের কাছ থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এতে ভিকটিম বাধা প্রদান করলে দুস্কৃতকারীরা ভিকটিমকে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গুরুতর আহত ভিকটিমকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বুলবুলের স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্তকালে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিম গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে গত ৩০ মার্চ ২০২২ চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতরা বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তারা প্রত্যেকেই উল্লেখ করে যে, ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত রিপন ভিকটিমের ডান উরুতে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করে। ভিকটিমকে গুরুতর জখম করে তার মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেফতারকৃত রিপন ধারালো ছোরা দিয়ে ভিকটিমকে আঘাত করার বিষয়টি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে মর্মে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মানস কুমার পোদ্দার, পিপিএম (বার) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দা মিরপুর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।