মিশরকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে প্রায় উঠেই গেছে রাশিয়া। কাল উরুগুয়ে সৌদি আরবকে হারালেই নিশ্চিত হয়ে যাবে, রাশিয়া ও উরুগুয়েই যাচ্ছে নকআউট পর্বে। ইনজুরি থেকে উঠে এসে মোহামেদ সালাহ অবশেষে মাঠে নেমেছিলেন। বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে পেনাল্টি থেকে গোলও পেয়েছেন। কিন্তু নিয়তি লিখে রেখেছে, প্রথম ম্যাচেই তাঁর দলকে কার্যত বিদায় নিতে হচ্ছে বিশ্বকাপ থেকে।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর কে ভাবতে পেরেছিল, দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচটা এভাবে নিজেদের করে নেবে রাশিয়া? এই বিশ্বকাপে তাদের র্যাঙ্কিং ৭০, সবার নিচে। প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবের সঙ্গে ৫-০ গোলের জয়ের পর সেটাকে ভুল প্রমাণ করল কিছুটা। আর আজকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, কাগজে কলমের চেয়ে মাঠের খেলাটাই আসল। দুই ম্যাচে আট গোল করে জানান দিল নিজেদের সামর্থ্যের।
প্রথম গোলটা অবশ্য কিছুটা ভাগ্যগুণেই পেয়ে যায় রাশিয়া। ৫০ মিনিটে আলেকজান্ডার গলোভিনের শট পাঞ্চ করেছিলেন মিশর গোলরক্ষক এল শেনাউই, কিন্তু সেটা গিয়ে পড়ে জবনিনের পায়ে। তাঁর নেওয়া শটটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেই জালে জড়িয়ে দিয়েছেন মিশরের অধিনায়ক আহমেদ ফাতহি। এই বিশ্বকাপে এটি পঞ্চম আত্মঘাতী গোল।
৫৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোলটা এসেছে দারুণ খেলেই। ডান দিক থেকে মারিও ফার্নান্দেজের ক্রসটা অরক্ষিত অবস্থায় জালে জড়িয়ে দেন ডেনিশ চেরিশেভ। আগের ম্যাচে দুই গোল করেছিলেন চেরিশেভ, আজ মোট তিন গোলে ছুঁয়ে ফেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে।
তৃতীয় গোলের জন্য মাত্র তিন মিনিত অপেক্ষা করতে হয়েছে রাশিয়াকে, ৬২ মিনিটেই তা পেয়ে গেছে। বক্সের ভেতর বল পেয়ে তা দারুণভাবে বুকে নিয়েছিলেন আরতেম জুবা, মিশরের আলি গাবরের দুর্বল চ্যালেঞ্জকে পাশ কাটিয়ে বলটা জড়িয়ে দেন জালে।
এরপর ৭৩ মিনিটে সালাহকে বক্সে ফাউল করা হলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। সেখান থেকে গোল করে ব্যবধান কমিয়েছেন সালাহ, কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোলটা সান্ত্বনাই হয়ে থেকেছে।