রাশিয়া মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে অন্য দেশগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ হস্তক্ষেপের উদ্যোগ শুধু ধর্মীয় উত্তেজনা বাড়িয়ে দিতে পারে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীনের পর এবার মিয়ানমারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে রাশিয়া।
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভাকে উদৃতি দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে, এটা মনে রাখা দরকার যে একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ইচ্ছা কেবল আন্তঃধর্মীয় বিরোধ বাড়িয়ে দিতে পারে। রাশিয়ার এই বক্তব্যের আগে রোহিঙ্গা সংকটের জন্য এই মুসলিম জনগোষ্ঠীকেই দায়ী করেছিলেন ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত মা মিং চিয়াং।
গত রবিবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে পুলিশের ওপর হামলার কারণে সহিংসতা শুরু হয়। এরপর রোহিঙ্গারা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে থাকে। এ প্রসঙ্গে রুশ মুখপাত্র জাখারোভ বলছেন, আমরা সরকারের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছি এবং ওই ধর্মের অনুসারীদের প্রতি উগ্রপন্থিদের উসকানিতে ঝাপিয়ে না পড়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
জাখারোভ বলেন, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশনের সুপারিশ ‘বাস্তবায়নে’ মিয়ানমারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে মস্কো। এজন্য মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রীর নেতৃত্বে কমিটি গঠনের কথাও উল্লেখ করেন তিনি।রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলছেন, মিয়ানমারে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুতদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে কর্তৃপক্ষ সহায়তা করছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে, প্রায় দুই হাজার মানুষ নিজেদের ঘরে ফিরেছে।
অভিবাসন সংকটের ভুক্তভোগীদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আমরা আশা করছি।এদিকে মিয়ানমারে অবিলম্বে সেনা অভিযান স্থগিত ও রোহিঙ্গাদের প্রতি সহিংসতা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এমনকি গত বুধবার তার এই আহ্বানের পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে অতিরিক্ত সহিংসতার খবরে উদ্বেগ জানিয়ে একটি প্রস্তাবও পাস হয়েছে।