মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গণহত্যার অভিযোগে মামলা করেছিল গাম্বিয়া। আগামী বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এই গণহত্যা মামলার রায় দিবেন বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিজে।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোগত সহিংসতা জোরদার করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। হত্যাকাণ্ড, সংঘর্ষ, ধর্ষণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগের বাস্তবতায় জীবন ও সম্ভ্রম বাঁচাতে নতুন করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা। এ নৃশংসতাকে ‘গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত আইসিজেতে এ মামলা করে গাম্বিয়া।
এ বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হেগে শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১০-১২ ডিসেম্বর।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রদান ও রাখাইনে গণহত্যার আলামত নষ্টের বিভিন্ন অভিযোগের ওপর এই শুনানি হয়। রোহিঙ্গাদের সুরক্ষার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে আদালতের প্রতি আহ্বান জানায় পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।
ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পক্ষে মামলা করা গাম্বিয়া মিয়ানমারের গণহত্যার আচরণ অবিলম্বে বন্ধ করার ব্যবস্থা বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে জরুরিভাবে আদেশ দেওয়ার আহ্বান জানায়।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) অনুসারে, ১৯৯৩ সালের আন্তর্জাতিক আদালতে প্রথম গণহত্যা বিষয়ক মামলায় সার্বিয়ার বিরুদ্ধে অস্থায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। কারণ ওই মামলায় প্রমাণিত হয়েছিল যে, সার্বিয়া বসনিয়া-হার্জেগোভিনায় গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি স্থাপনে দায়িত্ব লংঘন করেছিল।