ওয়েবসাইটটির আরো দাবি, মুরাসি নাকি এখন দুঃখ করে বলেন, ‘আমার চোখের সামনে আমার নাতি-নাতনিরা মারা গিয়েছে। কিন্তু আমাকে মৃত্যু গ্রাস করেনি। আমি তাই মরার আশা ছেড়ে দিয়েছি।’
এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, `আগামী জীবনে তার কোনো চাওয়া পাওয়া ও আশা নেই।`
তবে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক ও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেতে চান তিনি। এর পরও সবকিছু মিলে ভালই আছেন বলে জানান তিনি।
যদিও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, গিনেস রেকর্ডে মুরাসির নাম রয়েছে তবে বিশ্বের মধ্যে না, ভারতীয় ইতিহাসের সবচেয়ে বৃদ্ধ ব্যক্তি হিসেবে। তবে এই তথ্যের যর্থাথতাও নিশ্চিত করা যায়নি।
ভারতের সরকারি সূত্র মতে, বেঙ্গালুরুর থেকে ১৯০৩ সালে বারানসিতে এসে মুচির কাজ শুরু করেন মুরাসি। ১৯৫৭ সালে ১২২ বছর বয়সে এ কাজ থেকে অবসরে যান তিনি।
জন্ম সনদ ও ভারতীয় কার্ড থাকলেও তার নেই কোনো মেডিক্যাল সনদ। সর্বশেষ তিনি ১৯৭১ সালে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। এর পর আর কোনো চিকিৎসকের শরণাপন্ন হননি তিনি। এমনকি ১৯৭১ সালে তিনি যে চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন, তিনিও মারা গেছেন। তাই তার বয়সের রহস্য জট খোলা সম্ভব হয়নি।