মেয়েকে নিয়ে অবৈধ পথে মেক্সিকো সীমান্ত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছিলেন এক ভারতীয় মা। অ্যারিজোনার মরুভূমিতে মেয়েকে আরেক নারীর কাছে রেখে পানির খোঁজে গিয়েছিলেন তিনি। মরুভূমিতে পথ হারিয়ে মেয়ের কাছে ফেরা হয়নি তার। ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় হিটস্ট্রোকে মারা যায় ছয় বছরের ওই শিশুটি। সীমান্ত থেকে মাত্র এক মাইল দূরে খোঁজ মেলে তার মৃতদেহের।
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ডার পেট্রোল (পিসিওএমই) ও পিমা কাউন্টি দপ্তরের চিকিৎসা পরীক্ষক জানিয়েছেন, মারা যাওয়া শিশুটির নাম গুরুপ্রিত কাউর। বুধবার অ্যারিজোনার লিউকভিল্লের পশ্চিম এলাকা থেকে বর্ডার পেট্রোল শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টার দিকে মানবপাচারকারীরা ওই শিশু ও তার মাসহ পাঁচজনের একটি ভারতীয় দলকে যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তবর্তী শহর টাকসন থেকে ৫০ মাইল দক্ষিণপশ্চিমে লিউকভিল্লেতে রেখে যায়। কিছু দূর যাওয়ার পর দলের এক নারী সদস্যের কাছে শিশুটিকে রেখে ওই মা ও আরেক নারী পানির খোঁজে যান।
বর্ডার পেট্রোল এজেন্ট জেসাস ভাসাভিলবাসো বলেন, ‘পানির খোঁজে যাওয়ার পর তাদের পরস্পরের আর দেখা হয় নি।’
শিশুটির মা ও তার সঙ্গে থাকা নারীটি সোনোরান মরুভূমিতে পথ হারিয়ে ফেলেন। পদচিহ্ন দেখে ২২ ঘন্টা পর তাদের খোঁজ পায় বর্ডার পেট্রোলের এক এজেন্ট। এর চার ঘন্টা পর সীমান্ত থেকে মাত্র এক মাইল দূরে মৃত শিশুটিকে খুঁজে পায় বর্ডার পেট্রোল এজেন্টরা। যেই নারী ও তার আট বছরের কন্যার কাছে শিশুটিকে রেখে যাওয়া হয়েছিল তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায় মেক্সিকোতে।
পিসিওএমই’র প্রধান মেডিকেল কর্মকর্তা গ্রেগ হেস জানান, শিশুটি হাইপারথার্মিয়াতে (দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়া) মারা গেছে। তার মৃত্যুকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পিসিওএমই জানিয়েছে, গত ৩০ মে পর্যন্ত দক্ষিণ অ্যারিজোনাতে ৫৬ জন অভিবাসীর মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই মারা গেছে তাপমাত্রাজনিত কারণে।