পেটে মেদ বা চর্বি হলে চলা-ফেরায় যেমন কষ্ট হয়, তেমনি নষ্ট হয় সৌন্দর্যও। মেদের ফলে বাড়তে পারে ডায়াবেটিস, প্রেসার, কোমর ও হাঁটুর ব্যথার মতো সমস্যা। এমনকি ক্লান্তি, অনিদ্রা, শ্বাসকষ্টের মতো বহু শারীরিক সমস্যার সঙ্গেও অতিরিক্ত ওজন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত।
আমরা বেশিরভাগ সময়েই উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেয়ে ফেলি। এদিকে কাজ করি অফিসে বসে থেকে। কোনোরকম শারীরিক কসরতও করা হয় না। ফলে মেদ শরীরে বাসা বাঁধে। অনেকসময় জিমে গিয়ে, ডায়েট কন্ট্রোল করেও কোনো লাভ হয় না। তাই জেনে নিন সহজ ঘরোয়া উপায়-
♦ প্রতিদিনের সকালটা শুরু হোক লেবুর সরবত দিয়ে। এই পদ্ধতি পেটের মেদ কমানোর সবচেয়ে কার্যকরী ১টি উপায়। ১ গ্লাস হালকা গরম পানিতে লেবু চিপে সরবত করে সঙ্গে একটু লবণ মিশিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে একটু মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। কিন্তু চিনি মিশাবেন না। প্রতিদিন সকালে পানীয়টি পান করুন। এই পানীয় আপনার বিপাক প্রক্রিয়া বাড়িয়ে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।
♦ বাড়িতে রান্না করা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। অতিরিক্ত তেল-মশলা, ঘি-মাখন এড়িয়ে চলুন। রেড মিট এড়িয়ে চলুন। ফাস্ট ফুড, ডিপ-ফ্রাই করা খাবার, আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংক্স, অ্যালকোহল না খাওয়াই ভালো।
♦ খাওয়ার সময়ে পেটে একটু জায়গা রেখে খান। খাবার ভালো হজম হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরির সমস্যাও হবে না।
♦ ভাত, ময়দা, চিনি কম খান। আটার রুটি খান। চা-কফিতে চিনি খাওয়া ছেড়ে দিন। ফল, চাট, স্যালাড, আমন্ড ও টক দই এই জাতীয় খাবার খান বেশি।
♦ সারাদিনের খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ রাখুন বেশি। ছোটো মাছ, চিকেনের ব্রেস্ট পিস খান। খাবারের পাতে রাখুন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ও ফল।
♦ জিমে যাওয়ার আলাদা সময় না থাকলে বাড়িতেই করুন শরীরচর্চা। রোজ সকালে উঠে আধ ঘণ্টা রাখুন নিজের জন্য। স্কিপিং, বুক ডন, বৈঠক, পুল-আপের মতো খালি হাতে ব্যায়াম করুন। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও নির্দ্বিধায় করতে পারেন এই এক্সারসাইজগুলো। তবে ব্যায়াম শুরুর আগে কোনো শরীরচর্চা বিশেষজ্ঞের থেকে সঠিক ফর্ম অবশ্যই জেনে নেবেন।
♦ ঝাল খাবার খান। অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। ঝাল খাবেন কিন্তু ঝালগুলো আসবে দারচিনি, আদা, গোলমরিচ এবং কাঁচামরিচ থেকে। এগুলো রান্নায় ব্যবহার করুন। এই মশলা স্বাস্থ্যকর। এগুলো শরীরের ইনসুলিন সরবরাহ বাড়ায় এবং রক্তের সুগার লেভেল কমাতে সাহায্য করে। তাই এগুলো ডায়াবেটিস রোগীর জন্যও বেশ উপকারী।
♦ মেদ কমাতে না খেয়ে খালি পেটে থাকেন অনেকে। সেটি খুবই ভুল ধারণা। অল্প অল্প করে বারবার খান। নয়তো হিতে বিপরীত হবে।