কোপা আমেরিকার আগের দুই আসরের ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে টাইব্রেকারে হারিয়ে শিরোপা উৎসব করেছিল চিলি। সে কারণেই এবার দুই দলের তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচেও ছড়াল চরম উত্তেজনা! যেখানে ২-১ গোলের জয়ে তৃতীয় হয়েছে আর্জেন্টিনা। তবে এমন দিনে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন লিওনেল মেসি।
সাও পাওলোতে শনিবার(৬ জুন) মেসি লাল কার্ড দেখার আগেই অবশ্য দুই গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্টিনা। যার প্রথম গোলে অবদান ছিল মেসিরই। ম্যাচের তখন দ্বাদশ মিনিট। মাঝমাঠে ফাউলের শিকার হয়ে ফ্রি-কিক পেয়েছিলেন মেসি। চিলির খেলোয়াড়রা প্রস্তুত ছিলেন না কেউই। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই মেসি দ্রুত পাস বাড়ান সার্জিও আগুয়েরোকে। ডি বক্সে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ম্যানচেস্টার সিটির স্ট্রাইকার।
আগের ম্যাচগুলোতে শেষ কয়েক মিনিট করে খেলার সুযোগ পাওয়া পাওলো দিবালার এদিন জায়গা হয়েছিল শুরুর একাদশে। ২২ মিনিটে দিবালাই গোল করে দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। জিওভানি লো সেলসো পাস দিয়েছিলেন। সেটি দারুণ দক্ষতায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে এগিয়ে আসা গোলরক্ষকের পাশ দিয়ে দুর্দান্ত এক গোল করেন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড।
আধা ঘণ্টা পেরোনোর পর আবার গোল পেতে পারত আর্জেন্টিনা। মেসি উঁচু করে ডি বক্সে বল বাড়িয়েছিলেন। তবে দিবালার ভলি চলে যায় বাইরে দিয়ে।
প্রথমার্ধের ৩৭ মিনিটে মেসির লাল কার্ডের সেই ঘটনা। মেসির সঙ্গে বল দখলের লড়াইয়ে ছিলেন চিলির অধিনায়ক গ্যারি মেডেল। বল পেরিয়ে গিয়েছিল বাইলাইন। এরপরই ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন দুজন। শুরুটা করেছিলেন অবশ্য মেডেল। মেসিকে লাল কার্ড দেখানোর পর ভিএআর প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে মেডেলকেও বহিস্কার করেন প্যারাগুইয়ান রেফারি।
আর্জেন্টিনার জার্সিতে মাত্র দ্বিতীয়বার লাল কার্ড দেখলেন মেসি। এর আগে ২০০৫ সালে অভিষেকে হাঙ্গেরির বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন।
বিরতির পর ৫৯ মিনিটে ডি বক্সের ভেতর চিলির মিডফিল্ডার চার্লস আরানগিসকে লো সেলসো ফাউল করলে ভিএআর-এর সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান আরতুরো ভিদাল। শেষ দিকে আগুয়েরো দুটি সুযোগ পেলেও ব্যবধান বাড়াতে পারেননি।