মোহামেডান ক্লাবে সাথে চুক্তিবদ্ধ হলেন বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের ড্যাসিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ১০ এপ্রিল’১৭ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘরোয়া ক্রিকেটে মোহামেডান হয়ে খেলার জন্য ক্লাবে নাম লেখালেন তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সব উত্তাপ এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে; ঘরোয়া ক্রিকেটের সেই উত্তাল দিন আর নেই। থাকলে তামিম ইকবালের মতো ক্রিকেটারের আবাহনী ছেড়ে মোহামেডানে নাম লেখানো কী শোরগোলই না ফেলে দিত!
বাঁহাতি ওপেনার নিজেও অবশ্য ব্যাপারটিকে বড় করে দেখছেন না। মোহামেডান–আবাহনী দুই ক্লাবের সঙ্গেই অন্য রকম পারিবারিক সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দেন তামিম এভাবে, ‘আমার বাবার ক্লাব মোহামেডান আর চাচার ক্লাব আবাহনী। ’ বাবা ইকবাল খান চট্টগ্রাম মোহামেডানের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন দীর্ঘদিন। চাচা আকরাম খান আবার ক্যারিয়ারের বড় একটি সময় কাটান ঢাকা আবাহনীতে।
কাল মোহামেডানে চুক্তি সইয়ের আনুষ্ঠানিকতার সময় তা মনে করিয়ে দেন তামিম। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল আবাহনীতে তাঁর কথা ছিল শুরুতে। পরে জাতীয় দলের পুলের তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে এই ওপেনারকে রাখেনি। এ নিয়ে গোপন উষ্মা হয়তো বেরিয়ে আসে তামিমের কথার ঝাঁজে, ‘আমাকে আবাহনী কেন রাখেনি, ওনারাই ভালো বলতে পারবেন। ’ তবে সেই উষ্মা আবার তিক্ততায় রূপ নেয়নি। সে কারণে ভবিষ্যতে আবাহনীতে খেলার দরজাও খোলা রাখেন এভাবে, ‘দুই ক্লাবের সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক আছে। আগামী মৌসুমেই আবাহনীতে খেলতে পারি কিংবা মোহামেডানে থেকে যেতে পারি পাঁচ বছর। ’
ঘরোয়া ক্রিকেটের উত্তাপ যেমন হারিয়েছে, তার চেয়েও বেশি যেন হারিয়েছে মোহামেডানের জৌলুস। লিগ শিরোপা সর্বশেষ জিতেছে ২০০৯ সালে। সাম্প্রতিক মৌসুমগুলোয় সুপার সিক্সে উঠতে পারলেই যেন বর্তে যায় ক্লাবটি। শিরোপা জয়ের মতো দলই গড়তে পারে না মোহামেডান। এবার অবশ্য খারাপ দল হয়নি। তামিমের পাশাপাশি কাল মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামকে দলে টানে তারা।
১২ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া লিগে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অবশ্য চার রাউন্ডের বেশি ম্যাচ খেলতে পারবেন না। তবু মোহামেডানের দল নিয়ে এবার আশাবাদী তামিম, ‘মোহামেডান বেশ কিছু বছর ধরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারছে না। তবে এবার ভালো দল হয়েছে। এবার আমাদের পারফর্ম করার পালা। তবে সেরা দল গড়েও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া যায় না। সে জন্য ভাগ্য লাগে। ওই ভাগ্যকে পাশে পাওয়ার আশা করছি। আর আমি নিজে যে কটি ম্যাচ খেলব, চেষ্টা করব নিজের সেরাটা দেওয়ার। ’