জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার তখন ১ রান, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দাঁড়িয়ে ৯৭ রানে। হাতে ১১ বল থাকায় জয়টা নিশ্চিতই ছিল স্বাগতিকদের, কিন্তু ম্যাক্সওয়েলের সেঞ্চুরি হবে তো? হোবার্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয়ের সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করেই মাঠ ছেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।
ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিতের সঙ্গে সেঞ্চুরি পূরণ করেছেন ম্যাক্সওয়েল। যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে অস্ট্রেলিয়া বাজেভাবে সিরিজ হেরেছে, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী সেই দলের বিপক্ষে দাপুটে জয়ে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে জয়ের পথ সচল রাখলো তারা। নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে শুরু করেছে তারা সিরিজ। হোবার্টে নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংলিশদের ৯ উইকেটে ১৫৫ রানের জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৯ বল আগে জয় নিশ্চিত করে ৫ উইকেট হারিয়ে।
ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ম্যাক্সওয়েল খেলেছেন হার না মানা ১০৩ রানের ইনিংস। ৫৮ বলের ইনিংসটি এই ব্যাটসম্যান সাজিয়েছিলেন ১০ চার ও ৪ ছক্কায়। ম্যাক্সওয়েল একাই শেষ করে দিয়েছেন ইংল্যান্ডকে। টপ অর্ডারে ডেভিড ওয়ার্নার (৪) ও ক্রিস লিনের (০) ব্যর্থতার পর যা একটু সঙ্গ পেয়েছিলেন ডি’আর্চি শর্টের (৩০) কাছ থেকে। বাকি কাজটা সেরেছেন একা হাতে।
হার না মানা ১০৩ রানের ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন তিনি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এর আগে ২০১৬ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাক্সওয়েল খেলেছিলেন অপরাজিত ১৪৫ রানের ইনিংস। ঝড়ো ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি অবশ্য ওপেনিংয়ে নেমে।
এর আগে বোলিংয়েও জাদু দেখিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। তার ঘূর্ণিতেই আসলে ইংল্যান্ডর স্কোর বেশিদূর এগোয়নি। বল হাতে এই স্পিনার ২ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচায় তুলে নেন ইংলিশদের ৩ উইকেট। তার সঙ্গে অ্যাস্টন অ্যাগার ১৫ রানে পেয়েছিলেন ২ উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার দুর্দান্ত বোলিংয়ে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ডেভিড মালানের হাফসেঞ্চুরির (৩৬ বলে ৫০) সঙ্গে অ্যালেক্স হেলস (১৫ বলে ২২) ও এউইন মরগানের (১৪ বলে ২২) ব্যাটে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান করতে পারে ইংল্যান্ড।