ডিএমপি নিউজঃ আসা যাওয়ার এই দুনিয়াতে সকলকে একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু এমন কিছু চলে যাওয়া আছে যা তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখে। আর এই খাতায় নাম লেখালেন বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ জালাল উদ্দীন পিপিএম।
ইন্সপেক্টর মোঃ জালাল উদ্দীন সোমবার (১৯ মার্চ, ২০১৮) রাতে মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে সন্ত্রাসীদের ছোঁড়া গুলি মাথায় লেগে আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে ধানমন্ডির স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে দুইটায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
পুলিশের এই সাহসী কর্মকর্তা ১৯৮৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের চাকুরিতে যোগদান করেন। তিনি তার মেধা, মনন ও দক্ষতার মাধ্যমে ২০০২ সালে এএসআই পদে, ২০০৭ সালে এসআই পদে ও ২০১৭ সালে পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান।
তিনি চাকুরি জীবনে কোন শাস্তি পাননি। তবে ভাল কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন প্রশংসা ও আর্থিক পুরষ্কার। গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন ও অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখার জন্য ২০১৩ সালে তিনি বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানজনক পিপিএম-সেবা পদকে ভূষিত হয়েছেন।
তিনি ২০০৬ সালের ৮ অক্টোবর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। ২০১৭ সালের ২৮ আগস্ট পুলিশ পরিদর্শক পদে পদোন্নতি পান এবং ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ডিএমপি’র গোয়েন্দা ও অপরাধতথ্য বিভাগে যোগদান করেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা ১৯৭০ সালে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জের ভোলপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মৃত বিশারত আলী মন্ডল। তিনি স্ত্রীসহ দুই কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। তারা ভিকারুন নিসা নুন স্কুলের ছাত্রী।