এই তো কিছুদিন আগের কথা, একটা নো-বলই ঘুরিয়ে দিয়েছিল ভারতের ভাগ্য। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে যশপ্রীত বুমরাহর একটা নো-বলেই শেষ হয়ে গিয়েছিল ভারতের জয়ের সব আশা।

যখন বুমরার বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ নিয়েছিলেন ধোনি। কিন্তু কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভুল ভাঙে। নো-বল করেছেন বুমরা। তাই জামান নট-আউট। এর পরই সেই ম্যাচ উইনিং ১১৪ রানের ইনিংস। এখানেই শেষ হয়নি।

এর পর বুমরার সেই ছবি নিয়ে জয়পুর ট্র্যাফিক পুলিশের বিজ্ঞাপন ঘিরেও কম জলঘোলা হয়নি। কিন্তু জানেন কি পুরো কেরিয়ারে একটাও নো-বল না করার রেকর্ড রয়েছে বিশ্বের সেরা কয়েকজন বোলারের?

সেই তালিকায় রয়েছেন পাঁচ জন

কপিল দেব (ভারত)

ভারতের সেরা অল-রাউন্ডার তিনিই। তাঁর অধিনায়কত্বেই এসেছিল প্রথম বিশ্বকাপ। সেটা ১৯৮৩ সাল। বল হাতে একাধিক রেকর্ড রয়েছে কপিলের ঝুলিতে। সঙ্গে রয়েছে একটাও নো-বল না করার রেকর্ডও। একজন ফার্স্ট বোলারের জন্য যেটা বেশ কঠিন। সব সময় গতি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। কিন্তু কপিল পেরেছিলেন। ১৩১টি টেস্ট ও ২২৫টি ওয়ান ডে খেলেও ওভার স্টেপ করেননি কপিল দেব।

ইয়ান বথাম (ইংল্যান্ড)

তাঁর নামের পাশেও রয়েছে অল-রাউন্ডার তকমা। ইংল্যান্ডের এই ব্যাটসম্যান-বোলার বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে নিজের নাম লিখে রেখেছেন স্বর্ণাক্ষরে। তাঁর পা-ও কখনই পেড়িয়ে যায়নি লাইন। স্টাইলিস্ট এই ব্রিটিশ ক্রিকেটারের খেলা চিরকাল মনোরঞ্জন করে এসেছে ক্রিকেট ফ্যানদের। সেই বথামের নামের পাশেও নেই কোন নো-বলের রেকর্ড। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন ১০২টি টেস্ট ও ১১৬টি ওয়ান ডে।

ইমরান খান (পাকিস্তান)

এই রেকর্ড যেন সব অল-রাউন্ডারদের জন্যই। তাঁর সময়ে তিনিই ছিলেন সব থেকে স্টাইলিস্ট ক্রিকেটার। বল হাতে তাঁকে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকত ক্রিকেট বিশ্ব। তিনি পাকিস্তানের ইমরান খান। তাঁর অধিনায়কত্বেই পাকিস্তানের ঘরে এসেছিল একমাত্র বিশ্বকাপ। সেটা ১৯৯২।  তিনিও কখনও তাঁর পুরো কেরিয়ারে একটিও নো-বল করেননি। ৮৮টি টেস্ট ও ১৭৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

ডেনিস লিলি (অস্ট্রেলিয়া)

ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ডের দলে নাম লিখিয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়াও। ডেনিস লিলির হাত ধরে। সর্ব কালের সেরা বোলার ডেনিস লিলিও কখনও পেড়িয়ে যাননি গণ্ডি। তাঁকে বলা হত সব থেকে ‘ডিসিপ্লিনড’ ফার্স্ট বোলার। যাঁর নামের পাশে কখনও লেখা হয়নি নো-বল। যদিও বাকিদের তুলনায় অনেক কম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৭০টি টেস্ট ও ৬৩ ওডিআই-তেই থামতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ান এই বোলারকে।

লান্স গিবস (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)

ক্রিকেট দুনিয়াকে অনেক সফল স্পিনার উপহার দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই তালিকায় এখনও পর্যন্ত শীর্ষে থাকবেন লান্স গিবস। যাঁর নামের পাশে রয়েছে ৩০৯টি টেস্ট উইকেট। আর তিনিই প্রথম, টেস্ট ক্রিকেটে যাঁর নামের পাশে লেখা হয়েছে ৩০০ উইকেট। তাঁর এই দীর্ঘ খেলোয়াড় জীবনে তিনি একটিও নো-বল করেননি। এই তালিকায় তিনিই একমাত্র স্পিনার।