ডিএমপি নিউজ: সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, শিগগির একজন নারী বিচারপতিকে নিয়োগ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ করবেন তিনি। তবে ডেমোক্রেটিক পার্টির দাবি, ভোটের পরই নিয়োগ দেওয়া হোক নতুন বিচারপতিকে। তা না হলে রাজনৈতিকভাবে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে দলটি।
শুক্রবার ৮৭ বছর বয়সে মারা যান সুপ্রিম কোর্টের উদারনৈতিক বিচারপতি রুথ বাডার গিন্সবার্গ। তার মৃত্যুর পরই নতুন বিচারপতি নিয়োগের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। শনিবার নর্থ ক্যারোলাইনায় এক নির্বাচনী প্রচারে ট্রাম্প বলেন, চলতি সপ্তাহেই গিন্সবার্গের স্থান পূরণ করতে একজন নারী বিচারপতিরই নাম ঘোষণা করবেন তিনি। এ সময় ট্রাম্পের সমর্থকরা স্লোগানে স্লোগানে বলেন, প্রেসিডেন্টের এক মেয়াদে সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারক নিয়োগের বিরল সুযোগ যেন তিনি গ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা আজীবন পদে থাকার সুযোগ পান। গিন্সবার্গ মারা যাওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীলদের ৫-৪ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। ট্রাম্প এখন সেটি ৬-৩-এ উন্নীত করতে চান।
ভোটের আগে ট্রাম্পের বিচারপতি নিয়োগ ঠেকাতে উঠেপড়ে লেগেছেন ডেমোক্র্যাটরা। তারা ২০০০ সালের ঘটনার কথা এখনও ভোলেননি। সে বছর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল ফয়সালা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। এবারও অনেকে সে সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ২০০০ সালে সুপ্রিম কোর্টে রক্ষণশীল বিচারপতিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকায় রায় গিয়েছিল জর্জ ডব্লিউ বুশের পক্ষে। নির্বাচনের আগেই যদি ট্রাম্প বিচারপতি নিয়োগ দেন, তাহলে ভোটের ফল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে তা রিপাবলিকানদের পক্ষে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
শনিবার সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের নেতা চাক শুমার বলেছেন, জানুয়ারির আগে রিপাবলিকানরা নতুন বিচারপতি নিয়োগের উদ্যোগ নিলে তা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দলটির আরেক সিনেটর অ্যাড মারকেই বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বাইডেন জিতলে, ডেমোক্র্যাটরা সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে এবং ট্রাম্প এখন বিচারপতি নিয়োগ দিলে পরিস্থিতি ভয়ানক হয়ে উঠবে। তখন যে কোনো বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিশংসনের প্রস্তাব আনা হতে পারে। সূত্র: এএফপি ও রয়টার্স।