যুব সমাজের বিপুল সম্ভাবনাকে জাতীয় উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে।এজন্য তাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি, খেলাধুলা, তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসহ মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৭’ উপলক্ষে দেয়া আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, যুবকদের মধ্যে আত্মমর্যাদা, দেশপ্রেম, মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা জাগ্রত করতে হবে। পশ্চাৎপদতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে থেকে তারা যাতে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতাসম্পন্ন বিবেকবান মানুষ হিসেবে সমাজে অবদান রাখতে পারে, শৈশব থেকেই সেভাবে তাদের গড়ে তুলতে হবে।দেশপ্রেমের মহান চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জাতির সার্বিক কল্যাণে যুবসমাজ আরো অবদান রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
হামিদ বলেন, যুবসমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় এবং সৃজনশীল। যুবদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা, অমিততেজ ও সাহস, কর্মস্পৃহা ও কর্মক্ষমতা দেশ ও জাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই যুবসমাজ যে কোনো দেশের অতিমূল্যবান সম্পদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাস যুবদের গৌরবময় অবদানে ভাস্বর। বায়ান্নর মহান ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ বিভিন্ন সঙ্কট উত্তরণে যুবসমাজের অবদান অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল।যুব দিবস উপলক্ষে দেশের তারুণ্যদীপ্ত যুবসমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘যুবদের জাগরণ, বাংলাদেশের উন্নয়ন’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের মতো এ বছরও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ‘জাতীয় যুব দিবস ২০১৭’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে সরকার ‘রূপকল্প ২০২১’ ও ‘রূপকল্প ২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।এ কর্মসূচির সার্থক বাস্তবায়নে যুবদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচিসহ যুবদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, ঋণ প্রদান ও কর্মের সুযোগ সৃষ্টি করে। এ কর্মসূচির পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে সরকার নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে।