আমরা ভাবি শুধু মিষ্টি খাবারেই চিনি থাকে। তাই ডায়েট থেকে মিষ্টি, চকোলেট, প্যাস্ট্রি, ডোনাট বাদ দিলেই চলবে। কিন্তু জানেন কি এমন অনেক খাবার আমরা স্বাস্থ্যকর ভেবে খাই যাতে মেশানো থাকে অ্যাডেড সুগার? অনেক ক্ষেত্রেই এই সব খাবার হতে পারে মিষ্টির থেকেই বেশি অস্বাস্থ্যকর।
প্রোটিন বার: ডায়েটে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য অনেকেই প্রোটিন বার খান। কিন্তু এই সব বারে প্রোটিন থাকাও সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে। কোনও কোনও প্রোটিন বারে ৩০ গ্রাম সুগার থাকে। যা ক্যান্ডি বারের থেকেও বেশি।
লো ফ্যাট ইয়োগার্ট: লো ফ্যাট ট্যাগ পড়েই আমরা ভেবে ফেলি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু এই সব খাবারে, বিশেষ করে লো ফ্যাট ইয়োগার্টে স্বাদ বাড়ানোর জন্য মেশানো হয় সুগার। মাত্র ১ কাপ লো ফ্যাট ইয়োগার্টে চিনি থাকে ১২ চা চামচ।
কেচাপ: টমেটো দিয়ে তৈরি হয় কেচাপ। টমেটোর মধ্যে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকার কারণে কেচাপ খুবই স্বাস্থ্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু জানেন কি মাত্র ১ চা চামচ কেচাপেই থাকে ১ চা চামচ সুগার?
ফ্রুট জুস: ফলের মিনারেল ও ভিটামিন ছাড়াও স্বাদ বাড়ানোর জন্য ফ্রুট জুসে বেশি পরিমাণ চিনি মেশানো হয়। উপরন্তু থাকে না ফলের ফাইবার। তাই কেনা ফ্রুট জুস আমরা যতটা স্বাস্থ্যকর ভাবি, আসলে ততটাই অস্বাস্থ্যকর।
প্যাকড স্যুপ: বাড়িতে বানানো স্যুপ শরীরের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। কিন্তু দোকান থেকে কেনা প্যাকেজড স্যুপে সুক্রোজ, মল্টোজ, ফ্রুক্টোজের মতো সিরাপ মেশানো থাকে।
ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল: সবচেয়ে সহজ ও সুবিধাজনক ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল। এই সব সিরিয়ালের স্বাদ বাড়াতে প্রচুর পরিমাণ চিনি যোগ করা হয়। এক বাটি সিরিয়ালে ৩ চা চামচ পর্যন্ত চিনি থাকতে পারে।
গ্রিন টি স্বাস্থ্যকর। কিন্তু ফ্লেভারড গ্রিন টি কতটা স্বাস্থ্যকর? গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকলেও ফ্লেভার আনার সময় অতিরিক্ত মাত্রায় সুগার যোগ করা হয়ে থাকে।
সুস্বাদু হলেও স্প্যাগেটি সসে ঠিক কতটা সুগার থাকে জানেন? মাত্র ১ চামচ স্প্যাগেটি সসেই ১০ গ্রাম চিনি থাকে।