রাজধানীর পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তকে সংযুক্ত করে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (উড়াল সড়ক) নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূলত পদ্মাসেতুকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা বলে জানিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সূত্র।
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে খুলে দেয়া হবে পদ্মাসেতু।তখন রাজধানীতে বাড়বে দূরপাল্লার যানবাহনের চাপ। আর এই চাপ সামাল দিতেই প্রস্তাবিত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ।
সেতু বিভাগ সূত্র জানায়, ঢাকা শহরের সড়কগুলো মূলত উত্তর-দক্ষিণে। তাই এবার পূর্ব-পশ্চিম জুড়ে নির্মিত হবে উড়ালসড়ক। সাভার উপজেলার বলিয়াপুর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে মধুমতি মডেল টাউনের কাছে হবে এক্সপ্রেসওয়েটির মূল পয়েন্ট। এখান থেকে একটি অংশ চলে যাবে সাভার-হেমায়েতপুর। অপর অংশটি গিয়ে ঠেকবে পুরান ঢাকার নিমতলী থেকে কেরানীগঞ্জ-ইকুরিয়া- জাজিরা-ফতুল্লা-হাজীগঞ্জ-বন্দর-মদনপুর হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে।মূলত হেমায়েতপুর থেকে সাভার বলিয়াপুর হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম রুটে এটা মিলিত হবে এই এক্সপ্রেসওয়ে।এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে পদ্মা সেতুর সঙ্গে ঢাকা-আরিচা ও ঢাকা-চট্টগ্রাম দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই মহাসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হবে।
এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে পদ্মাসেতু হয়ে আসা যাত্রীরা ঢাকায় প্রবেশ না করেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উঠতে পারবেন।এছাড়া বলিয়াপুর পয়েন্ট থেকে কেরানীগঞ্জ জেল গেট আলাদা লিংক রোড নির্মাণও করা হবে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে এই রুটের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করা হয়েছে। এই রিপোর্ট চলতি অক্টোবর মাসের শুরুতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে সেতু বিভাগ।
সেতু বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওহিদুজ্জামান বলেন, আমরা ইতোমধেই ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমে ৩৯ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি করে ফেলেছি। মূলত যানজট থেকে ঢাকাকে বাঁচাতেই এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এর মাধ্যমে পদ্মাসেতু হয়ে আসা যাত্রীরা ঢাকায় প্রবেশ না করেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক এবং ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে কানেক্ট হতে পারবেন।