ডিএমপি নিউজ : গত ২৮ অক্টোবর রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ছাদ থেকে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করা হয়নি, দলটির উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীদের হামলা প্রতিরোধ করেন পুলিশ ও পুলিশ হাসপাতালের কর্মীরা।
গত ৪ঠা নভেম্বর Tanvir Ahmed নামের এক জনের ফেসবুক আইডি থেকে পুলিশ হাসপাতালের উপর থেকে ইটপাটকেল ছোড়ার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়। সেখানে দাবি করা হয় কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের ছাদ থেকে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা করা হয়। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো-
গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের অনুমতি নিয়ে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশস্থল থেকে দলটির নেতা-কর্মীরা রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের মূল ফটকে আগুন ধরিয়ে দেয়, বাইরে থেকে হাসপাতালের ভেতরে মুহুর্মুহু ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। তারা হাসপাতালের কম্পাউন্ডে থাকা এ্যাম্বুলেন্সসহ ২৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। তাদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ প্রবেশ দরজার গ্লাস ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তখন কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ এবং সিভিল স্টাফগণ হাসপাতালের ছাদ থেকে ইটপাটকেল ছুড়ে হাসপাতালে হামলাকারী ও অগ্নিসংযোগকারীদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশের অনুমতি নিয়ে রাজধানীতে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে পুলিশসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা দেশের বিচার বিভাগের মর্যাদার প্রতীক প্রধান বিচারপতির বাসভবন, বিচারপতিদের বাসভবন, রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল, বিভিন্ন পুলিশ বক্স ও পুলিশের গাড়িতে ব্যাপক হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা একজন পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে। তাদের হামলায় আহত হয় প্রায় অর্ধশত সাংবাদিকসহ শতাধিক পুলিশ সদস্য।