চীনের সঙ্গে যৌথ সামরিক অনুশীলনের সময় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে মস্কো ক্ষমা চায়নি বলে দাবি জানিয়েছে রাশিয়া। চীনের সঙ্গে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আকাশে অনুশীলন পরিচালনা করছে দেশটি। এ অনুশীলনের ফলে চীন-রাশিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্স।
বেইজিং ও মস্কোর সামরিক সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুশীলনে দুটি রুশ টিইউ-৯৫ স্ট্র্যাটেজিক বোমারু বিমান ও দুটি চীনা এইচ-৬ বোমারু বিমান অংশ নিয়েছে। এছাড়া একটি রুশ এ-৫০ ও চীনের একটি কেজে-২০০০ পর্যবেক্ষক বিমান এ মহড়ায় অংশ নেয়।
এ অনুশীলনের সময় মঙ্গলবার রাশিয়ার যুদ্ধবিমান দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশ দুটি। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করে অনুশীলন অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছে মস্কো ও বেইজিং।
এদিকে গতকাল দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্সিয়াল কার্যালয় থেকে জানানো হয়, আকাশসীমা লঙ্ঘনের কারণে এক রুশ কর্মকর্তা ‘অত্যন্ত দুঃখ’ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তিনি রুশ বিমানের আকাশসীমা লঙ্ঘন অনিচ্ছাকৃত ছিল এবং মস্কোর বিষয়টি নিয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে তদন্ত চালু করার কথা জানিয়েছেন বলে দক্ষিণ কোরিয়া দাবি করেছে। রুশ বিমান দুবার আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে বলে জানিয়েছে সিউল।
কিন্তু কোনো ধরনের আকাশসীমা লঙ্ঘনের দাবি নাকচ করে দিয়েছে মস্কো। দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থিত রুশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার গণমাধ্যম আমাদের সামরিক অ্যাটাশের যে উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমরা তা দেখেছি। এক্ষেত্রে বলা যেতে পারে, সেখানে বহু কিছু বলা হয়েছে, যা বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
এদিকে চীন-রাশিয়ার এ যৌথ মহড়া ওয়াশিংটন থেকে শুরু করে টোকিও পর্যন্ত উদ্বেগ তৈরি করেছে। এ অনুশীলন পারস্পরিক সম্পর্ক আরো জটিল করবে এবং কোরীয় উপদ্বীপের উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বৈরী সম্পর্কে এরই মধ্যে অঞ্চলটি অস্থিতিশীল রয়েছে।